বিশ্বনাথ হবে উন্নয়ন-সমৃদ্ধি ও শান্তির জনপদ

বিশ্বনাথ উপজেলাকে ‘উন্নয়ন-সমৃদ্ধি ও শান্তির জনপদ তথা স্মার্ট বিশ্বনাথ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাই হবে লক্ষ ও উদ্দেশ্য। বিগত করোনা-বন্যা’সহ সকল দূর্যোগের সময় আমি যেভাবে উপজেলাবাসীর পাশে ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকবো। তবে ব্যাপকহারে মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে পৌর শহরের একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন।

তিনি এসময় ‘স্মার্ট উপজেলা’ গড়তে ৮মে নির্বাচনে সাংবাদিকবৃন্দ’সহ উপজেলা সর্বস্তরের ভোটারবৃন্দকে ‘আনারস’ প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান জানান।

চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ বলেন, জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালে সততা ও নিষ্ঠার সাথে মানুষের নিজের দায়িত্ব পালন করেছি। তাই ওয়াদা করছি উপজেলাবাসীর ভোটে আমি নির্বাচিত হলে যেমন নিজে কোন প্রকার দূর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকব না, তেমনি কোন দূর্নীতিবাজকেও প্রশ্রয় দেব না। উপজেলা পরিষদটি হবে জনতার, সমবন্টনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে সকল উন্নয়ন প্রকল্প। 

চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ আরোও বলেন, প্রবাসীরা নিজেদের কোন কাজে কোন দপ্তরে গেলে যাতে অযথা হয়রানীর শিকার না হন, আমি সেই উদ্যোগ গ্রহন করব। সরকারের পাশাপাশি প্রবাসীদের সার্বিক সহযোগীতায় এলাকার উন্নয়ন এগিয়ে নেব। আপনাদের ভোটে আমি নির্বাচিত হলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী এবং সিলেট-২ আসনের এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরীর সার্বিক সহযোগীতা নিয়ে জনগূরুত্বের দিক বিবেচনা করে উপজেলার সড়কগুলো সংস্কার ও পাকাকরণ করার, বিশ্বনাথে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপন, খাজাঞ্চী নদীর উপর ‘আশুগঞ্জ-বিলপাড় সেতুটি’ নির্মাণ করা’সহ কৃষি, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক, শিক্ষাখ্যাতের উন্নয়নে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাবো।