কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ০৯:০৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

মাদকের টাকার জন্য ধর্ষকের কাছে স্ত্রীকে তুলে দিলেন স্বামী

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানায় ৫০০ টাকার জন্য মাদকাসক্ত স্বামী তার স্ত্রীকে `মাদক কারবারি’র হাতে তুলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে মাদক কারবারিসহ তিনজনের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ওই নারী। বুধবার রাতে বরুড়া উপজেলার শাকপুর এলাকায় ঘটা এই ঘটনায় মামলার পর মাদক কারবারি ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তবে নারীর স্বামী এখনো পলাতক, তাকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বরুড়া থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী। গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার শাকপুর গ্রামের মাদক কারবারি নুরু ইসলাম ওরফে নুরা এবং তার সহযোগী একই গ্রামের মনির হোসেন ও মহিন উদ্দিন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ছয় বছর আগে ওই নারীর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি সন্তানও আছে।

মামলার নথির বরাতে ওসি জানান, ওই নারীর স্বামী নুরুর কাছ থেকে নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। বুধবার মাদকের ৫০০ টাকার জন্য স্ত্রীকে তিনি কৌশলে মাদক কারবারী নুরুর হাতে তুলে দেন। এক পর্যায়ে স্বামীর উপস্থিতিতে ওই গৃহবধূর ঘরেই তাকে ধর্ষণ করেন নুরু। এরপর ওই নারীকে জোর করে নিজ বাড়িতে নিয়ে ফের ধর্ষণ করেন। পরে বুধবার ভো্র রাতে নুরু তার সহযোগী মনির ও মাহিনকে সঙ্গে নিয়ে ওই নারীকে জমিতে পানি সেচ দেওয়ার গভীর নলকূপের মেশিন ঘরে নিয়ে যান। সেখানে তারা ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।

ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী তার বাবার বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরে চলে যান। শুক্রবার ভুক্তভোগী নারীর মা থানায় এসে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর শুক্রবার রাতেই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী নারীর চাচা বলেন, “মাদকের টাকার জন্য ভাতিজিকে তার স্বামী মাদক কারবারির কাছে তুলে দেওয়ায় সে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। আমরা খবর পেয়ে থানায় এসেছি। মামলা করেছি। আমরা ভাতিজির স্বামী ও ধর্ষকদের বিচার চাই।”

ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মাদক কারবারি নুরুর বিরুদ্ধে ২-৩ তিনটি মাদকের মামলা রয়েছে। নুরুসহ গ্রেপ্তার তিনজনকে শনিবার দুপুরে কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়েছে। ওই গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।

মন্তব্য করুন