যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ, ২০২৪, ১০:৫২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

যশোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

যশোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার হাসান আলীর বিরুদ্ধে  কৃষকদের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ, সার, বীজ, কীটনাশক আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির  অভিযোগ উঠেছে।  কৃষকদের চির শত্রু ভেজাল সার ব্যবসায়ীদের সাথে আঁতাত করে তিনি যশোরের মাটি ধ্বংসের পায়তারায় লিপ্ত হয়েছেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিকবার বিভিন্ন সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ হলেও অজ্ঞাত কারণে কর্তৃপক্ষ এখনো কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি ।

কৃষি অফিসার হাসান আলী যশোর সদর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। তিনি এখানকার ভেজাল সার ব্যবসায়ীদের সাথে গোপনে সখ্যতা গড়ে তুলে মাসিক টাকা নিয়ে চুপচাপ থাকেন।

সরেজমিন এ তথ্য পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, রাতের আধারে অফিসের কর্মচারী  হাফিজের মাধ্যমে কৃষকদের ভুয়া তালিকা করে সার, বীজ, কীটনাশক ও মৌসুমী ফলের চারা অন্যত্র বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করারও অভিযোগ রয়েছে হাসান আলীর বিরুদ্ধে।

এর আগে মহেশপুর উপজেলায় দায়িত্ব পালনকালে একইভাবে অর্থ উপার্জন করেন  কৃষি অফিসার হাসান আলী। এমন অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে যশোর সদরের জন্য ৪ টি প্রকল্পে প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শন খামারের জন্য ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। এই টাকায় ৫৭০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ ও ৭৫টি প্রদর্শনী খামার করার কথা ছিল। কিন্তু কৃষি অফিসার হাসান আলী নামমাত্র প্রশিক্ষণ দেখিয়ে সকল অর্থ নিজে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কৃষি অফিসার হাসান আলীর এসকল অবৈধ কর্মকান্ডের মূল সহযোগী হিসেবে সহযোগিতা করেন সদর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা একরামুল হক। এই দুই কৃষি কর্মকর্তার কারণে যশোর সদরের কৃষকরা সরকারের নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এব্যাপারে কৃষি অফিসার হাসান আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে, ওসব লেখালেখি না করে ভাই আসেন আমার সাথে দেখা করেন

মন্তব্য করুন