রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৯ মে, ২০২৪, ০৯:৩৬ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

রাঙামাটির মেয়ে সাবরিনা কি মারা গেছে, না-কি মেরে ফেলা হয়েছে

সাবরিনা আক্তার। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নিতান্ত গরিব ঘরের মেয়ে রাঙামাটির মেয়ে সাবরিনা আক্তার কি মারা গেছে? না-কি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে? প্রশাসন ও জাতির কাছে এমন প্রশ্ন সাবরিনার মা বাবা ও আত্মীয় স্বজনের। সাবরিনা আক্তার প্রকাশ মেঘলা গত ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে রাঙামাটি শহরের ৬নং ওয়ার্ড ভেদভেদি নতুন পাড়া থেকে চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি আব্দুল্লাপুর গ্রামের ছলিম উদ্দিনের ছেলে এমদাদ হোসেন রাকিবের সাথে পালিয়ে যায়।

গত ৬মে ২০২৪ ইং তারিখে সাবরিনা নাকি আত্মহত্যা করে মারা যান। পরে চট্টগ্রাম হাটহাজারী থানা হতে এমন দু-সংবাদ আসে সাবরিনার মা বাবা ও আত্মীয়স্বজনের কাছে। পুলিশ কর্তৃক সাবরিনার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে স্বজনেরা ছুটে যান হাটহাজারী থানায়। নিহতের স্বজনেরা সেখানে গিয়ে সাবরিনার লাশ পুলিশ থেকে বুঝে নেন। তবে কেন কি ভাবে সাবরিনা মারা গেছেন পুলিশের কাছে জানতে চাওয়া হলে পুলিশ বলে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে। পুলিশ এ বিষয়ে কিছুই জানতে চায়নি।

যে ছেলের সাথে সাবরিনা আক্তার (১৭) পালিয়ে গেছে তার নাম এমদাদা হোসেন রাকিব. পিতার নাম-ছলিম উদ্দিন, মাতা-লেবু বেগম, আব্দুল্লাহপুর, থানা ও উপজেলা ফটিকছড়ি, জেলা-চট্টগ্রাম। পুলিশ ছেলের পরিচয় পাওয়ার পরেও তাকে ধরছে না এমন অভিযোগ নিহতের স্বজনদের।

নিহত সাবরিনার পিতা হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়েটা নাবালক অবস্থায় এমদাদ হোসেন নামের ছেলের সাথে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। যাওয়ার ১৫ দিনের মাতায় মৃত্যুর সংবাদ পাই। পুলিশ বলছেন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আত্মহত্যার কোন আলামত আমরা তার গায়ে বা শরীরে দেখতে পাইনি। যেহেতু এমদাদ হোসেনের সাথে সাবরিনা পালিয়ে গেছে তাই সে কি ভাবে মারা গেছে তার রহস্য জানতে পারবে এমদাদ হোসেন। আমি পুলিশকে বলবো আমার মেয়ের হত্যাকারী এমদাদ হোসেন রাকিব।

এ ব্যাপারে হাটহাজারী থানার এস আই ফয়সাল এর সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানা যায়, হাটহাজারী থানায় সাবরিনা আক্তার মারা গেছে মর্মে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে তিনি থানায় গিয়ে ময়না তদন্তের সুরুতহালসহ কাগজে কি লিখা আছে তার বিস্তারিত জানাতে পারবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন