রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩ মে, ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

রায়পুরবাসী আবারও জাকারিয়াকে ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়

রায়পুর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী মারুফ বিন জাকারিয়া। ছবি সংগৃহীত

ভোটের সময় জনগণের সেবা করার কথা সব প্রার্থীর পোস্টারে লেখা থাকে। কিন্তু ভোট শেষ হলে ঐ শব্দ কিছু কিছু প্রার্থী ভূলে যায়। ভূলতে পারে নাই রায়পুর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মারুফ বিন জাকারিয়া। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নিজ উদ্যোগে এবং বন্ধুদের সহযোগিতা নিয়ে রায়পুর উপজেলার গরিব অসহায়দের ৯৬টি টিনের ঘর করে দেওয়া থেকে শুরু করে গরীব অসহায় মানুষের সকল বিপদের বন্ধু মারুফ বিন জাকারিয়া। যার কারণে অসহায় মানুষের কাছে তিনি একজন জনপ্রিয় কিন ইমেজ জনপ্রতিনিধি। মারুফ বিন জাকারিয়া তার মানবিক কার্যক্রম অব্যহত রাখতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে বৃহস্পতিবার টিউবওয়েল মার্কা প্রতীক বরাদ্দ পান। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান মারুফ বিন জাকারিয়াকে পুনরায় ভাইস চেয়ারম্যান দেখতে চান রায়পুর উপজেলাবাসী। ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী মারুফ বিন জাকারিয়া দলের প্রয়োজনে অগ্রণীভূমিকা রাখেন। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর ১১ কাদের মোল্লার ফাঁসির দিন রায়পুর সরকারি হসপিটালে জামাত শিবির কুপিয়ে মৃত মনে করে রেখে গেছেন তাঁকে। তিনি ছিলেন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও যুবলীগ সদস্য ছিলেন৷ তিনি বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী৷

প্রতীক বরাদ্দের পর মারুফ বিন জাকারিয়া জনগনকে সাথে নিয়ে নির্বাচনে প্রচার-প্রচারনাসহ জনগনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় চালিয়ে যাচ্ছেন।

জানা যায়, ১ টি পৌরসভা ও ১০ টি ইউনিয়ন নিয়ে রায়পুর উপজেলা। ২০১৯ সালে রায়পুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর তিনি রায়পুরের ব্যাপক উন্নয়নে কাজ করেন। তার পরেও বৃহৎ এই উপজেলার অনেক কাজ এখনো বাকী রয়েছে। পুনরায় নির্বাচিত হলে তিনি রায়পুরের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে স্মার্ট রায়পুর গড়তে কাজ করবেন বলে রূপালি বাংলাদেশকে জানিয়েছেন। স্থানীয় তৃনমূল নেতাকর্মী জানান, মারুফ বিন জাকারিয়া ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। করেনাকালীন সময় যখন অনেকেই ঘর থেকে বের হতে ভয় পেয়েছেন তখনো তিনি করোনায আক্রান্ত রোগীদের পাশে দাড়িয়েছেন। ওই সময় রায়পুরে হাজার হাজার মানুষের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী ও ওষুধ পৌঁছে দিয়েছেন। সমস্যায় থাকা অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে খাদ্য সামগ্রী ও ওষুধ পৌঁছে দিয়েছেন। সরকারি বরাদ্দ ছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে হাজারো মানবিক কাজ করায় রায়পুরবাসীর কাছে মানবিক উপজেলা  ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।

জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসার পর অনেকের চরিত্র পাল্টে গেলেও তিনি ব্যতিক্রম। তিনি আওয়ামী লীগের টিকেট নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও তিনি হন সবার ভাইস চেয়ারম্যান। সাদা মনের নিরঅহংকারী মারুফ বিন জাকারিয়া

আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা জানান, রায়পুরবাসীর সেবায় নিয়োজিত থাকার পরেও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। দলীয় প্রতিটি কর্মাকাণ্ডে তার সরব উপস্থিতি সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর চোখের মনিতে পরিণত হয়েছেন। রায়পুর

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মারুফ বিন জাকারিয়া বলেন, রায়পুরের প্রান্তিক পর্যায়ের সাধারণ মানুষের মাঝে বিভিন্ন উন্নয়ন ছড়িয়ে দিয়েছি। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমাকে রায়পুরবাসী পুনরায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল মার্কায় ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে বিজয় করবে। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে আমার জীবন বাজি রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং শেখ হাসিনার দারিদ্র্য মুক্ত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে রায়পুর উপজেলাকে একটি স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য করুন