রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৪ মে, ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

লংগদুতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২ ছাত্রকে বলৎকার করার অভিযোগ

ছবি সংগৃহীত

যেখানে নৈতিকতা আর ভদ্রতা বেহায়াপনা থেকে মুক্তির আশায় অভিভাবকেরা ছাত্র ছাত্রীদের নিরাপদ মনে করে, শিক্ষকদের বিশ্বাস করে ছাত্রদের শিক্ষকদের সঙ্গ দিতে বলে,আর তখনি শিক্ষক রক্ষক সেজে হিংস্র প্রানীর মত কাজ করে।

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ৩ নং গুলশাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড রাজনগর রাজারবাগী মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর নাবালক দুই শিশুকে বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে একই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (সাবেক) পুলিশ সদস্য ফারুক আহমদের বিরুদ্ধে। তিনি বাগান থেকে বাঁশ আনবে বলে শিশু দুজনকে বাঁশ বাগানে নিয়ে যায়। পরে গাছে পাতানো টং ঘরে বলৎকার করে বলে অভিযোগ উঠেছে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

একই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও একই মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর অন্য একটি ছাত্রকে  বলৎকারের অভিযোগ উঠলে এলাকার মানুষ তা স্থানীয় ভাবে সমাধান করে দেন।

এ বিষয়ে শিশুর চাচা জালাল এবং অপর শিশুর  বাবা শহিদ জানায়, একজন শিক্ষক যদি এমন আচরণ করে, তাহলে আমাদের সন্তান কার কাছে নিরাপদ থাকবে। আমাদের সন্তানদের মিথ্যা কথা বলে জাঙ্গলে নিয়ে এসব করে। আমরা মামলা করেছি। আমরা সঠিক বিচার চাই

বিষয়টি নিয়ে কথা হয়, মাদ্রাসা প্রধান মাওলানা হাফিজের সাথে। তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার আমাদের মাদ্রাসা বন্ধ ছিলো। ফারুক স্যার আমাকে কল দিয়েছিলো, তিনি উপরের বাগান থেকে কিছু বাঁশ আনবে। সেই সুবাদে মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে লোক মুখে শুনি তিনি, সেই ছাত্রদের বলৎকার করেছে। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মাওলা বলেন, শিশুটির পরিবার আমার নিকট আসলে, আমি উভয় পক্ষকে নিয়ে বসি। দুই পক্ষের কথা শুনে আমি তাদের আইনের আশ্রয় নিতে বলি।

গুলাশাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে আমার কাছে খবর আসলে, আমি বিষয়টি জানার চেষ্টা করি এবং পরবর্তীতে তাদের কথা শুনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেই।

গুলশাখালী পুলিশ ফাঁড়ি (ইনচার্জ) ওলি উল্লাহ বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে অভিযুক্ত ফারুক আহমদকে  জিজ্ঞেসাবাদের জন্য ফাঁড়িতে নিয়ে আসি। পরবর্তীতে শুক্রবার তাকে লংগদু থানায় হস্তান্তর করি।

লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারুনুর রশিদ বলেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযোগ আমলে নিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে  তার বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

মন্তব্য করুন