সিলেট ব্যুরো

প্রকাশিত: ৩ জুলাই, ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

শাবিপ্রবি অচল

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

অচল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষককরা ক্লাসে যাচ্ছেন না। ফলে পাঠদান বন্ধ। শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দিয়েছেন, ক্লাস হবে না। কমকর্তা-কর্মচারিরাও তাদের নিয়ম মাফিক কাজ থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছেন। তাই অফিস কার্যক্রমও বন্ধ। শিক্ষার্থী পরিবহনের জন্য বাসও চলছে না। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা আসতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

শিক্ষাক-কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। অপরদিকে মঙ্গলবার থেকে শিক্ষার্থীরাও কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে পৃথক আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। ত্রিমুকী আন্দোলনে কারণে শাবির স্বাভাবিক শিক্ষাকার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটার পাশাপাশি বিভিন্ন সেবা গ্রহণে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। সব মিলিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-শাবিপ্রবিতে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা।

সোমবার থেকে শাবিপ্রবিতে কর্মবিরতি শুরু হয়। মঙ্গলবার থেকে শিক্ষক সমিতি পূর্ণ দিবস ও কর্মকর্তা, কর্মচারীরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন। আর শিক্ষার্থীরা বেলা সাড়ে ১১টায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে। দাবি আদায় না হলে আজও তারা একই সময়ে একই আন্দোলন কর্মসূচি পালন করবে। শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘ একমাস গ্রীষ্মকালীন ও ঈদের ছুটি শেষে গেল সপ্তাহেই ক্যাম্পাস খোলার কথা ছিল। কিন্তু বন্যা পরিস্থিতির সাথে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে বন্ধ রয়েছে ক্যাম্পাস। কবে থেকে চালু হবে সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে কিছু বলা হচ্ছে না।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপল ড. আখতারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা আমরা বুঝতেছি। এ সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের সাথে আলোচনার কথা বলছি। তবে কেউ শিক্ষকদের কর্মসূচিকে মূল্যয়ন করছেন না। আমরা চাই সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, আমাদের সাথে বসে বিষয়টির সমাধান করা হোক। অচলাবস্থা কাটিয়ে আবারো শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরে আসুক।

সার্বিক বিষয়ে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শিক্ষকদের কর্মবিরতি সম্পর্কে অবগত। পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে, কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে নির্ধারিত সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় সেবা। কোনো শিক্ষার্থী মার্কসিট, সার্টিফিকেট বা প্রয়োজনীয় সেবা পেতে চাইলে অপেক্ষা করতে হচ্ছে কর্মসূচি শেষ হওয়ার।

শাবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অশোক বর্মন অসীম বলেন, সর্বজনীন প্রত্যয় স্কিম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য বৈষম্যমূলক। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ফেডারেশনের নির্দেশনায় তিনদিনের কর্মবিরতি চলমান থাকবে। কর্মকর্তারা সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন।

 

মন্তব্য করুন