শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল, ২০২৪, ০৬:০৬ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

শ্রীপুরে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী ও শাশুড়ি আটক

ছবি সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে মোছাঃ শরিফা আক্তার (২৩) নামের এক গৃহবধূ নিজ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। গৃহবধূ স্বজনদের অভিযোগ রাতভর নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। 

আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী গ্রামের মুরগির বাজার এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ।

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. সাখাওয়াত হোসেন গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার ও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

নিহত গৃহবধূ শরিফা আক্তার তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী গ্রামের মো. ইয়াসিন আরাফাত শুভর স্ত্রী। তাঁর বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। তাঁদের ইশরাত জাহান নামে আড়াই বছর বয়সী একটি শিশুকন্যা রয়েছে। 

আটককৃতরা হলেন, নিহত গৃহবধূর স্বামী ইয়াসিন আরাফাত শুভ (২৬) ও শাশুড়ি ইয়াসমিন আক্তার (৪৫)।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক মিয়া বলেন, এই দম্পত্তির ঘরে আড়াই বয়সী একটি শিশুকন্যা আছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছিল। বিরোধের বিষয়টি মামলা পর্যন্ত গড়ায়। স্ত্রীর মামলায় স্বামী ইয়াসিন আরাফাত  শুভ ১০ দিন জেল খেটে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে এসেছেন।

আনুমানিক ১৫দিন আগে শরিফাকে বাপের বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে শুভ। এরপর সোমবার সকালে ঘর থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার হয়েছে।

নিহতের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ভাষ্যমতে, ইয়াসিন আরাফাত শুভর স্ত্রী দড়ি দিয়ে  ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।

শরিফার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলেন, রাতে একই ঘরে স্বামী-সন্তান অবস্থান করছিলেন। সকালে ঘুম ভাঙলে স্বামী দেখতে পান ঘরের আড়ার সঙ্গে শরিফার মরদেহ ঝুলছে। পরে তিনি স্বজনদের ডেকে মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামান।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. মানিক মিয়া বলেন, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা বলা যাচ্ছে না। পুলিশ আসার আগেই লাশ নামিয়ে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া গলায় ফাঁসির দাগও দেখা যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে। সেখানে স্বামী ও স্বজনদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলছে।

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল হতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও শাশুড়িকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য করুন