প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল, ২০২৪, ০৬:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধানের জমিতে পানি সেচে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এতে করে ফসল নষ্ট হওয়ার সঙ্কায় রয়েছে একাধিক কৃষকের প্রায় তিন বিঘা জমি।
জানা যায়, উপজেলার স্থল পূর্বপাড়া এলাকার মোখলেছুর রহমান মাছুম মেম্বার দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা বিএডিসির অনুমোদিত ইলেকট্রিক সেচ পাম্প দিয়ে সেচ প্রজেক্ট চালিয়ে আসছে।
সম্প্রতি তার বাড়ীর পার্শবর্তী একজন বাটিকামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ লুৎফেয়ারা দিলরুবা সিমা অবৈধ ভাবে নিজের ব্যবহৃত আবাসিক মিটার দিয়ে একটা সেচ পাম্প চালাচ্ছে।
মাছুম মেম্বার জানান, গত ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং বাড়ীর পাশের একটি জায়গা নিয়ে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে সিমা আমাকে বলে আমার জমির ভিতর দিয়ে চলমান, তোর পানি সেচের ড্রেন দিয়ে পানি নিতে দিবো না। আর যদি নিতে হয় তাহলে আমাকে সেচকৃত জমির একশত আটি হতে দশ আটি দিতে হবে। আমি দিতে অস্বীকার করলে সে আমার পানি সেচের ড্রেন ভেঙ্গে ফেলে সেই থেকে আমি আমার নিজের ৪০ শতাংশ, বাবু মিয়ার ২০ শতাংশ ও মোজাম্মেলের ৩২ শতাংশ মোট তিন বিঘা জমিতে পানি সেচ বন্ধ রয়েছে।
আমি বিষয়টি উপজেলা কৃষি অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি কিন্তু কোন প্রতিকার এখনো পাইনি।
তার অবৈধ সেচ পাম্পের বিরোদ্ধে পল্লিবিদ্যুৎ অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ করেছি তারাও কোন ব্যাবস্থা নেয়নি।
অভিযুক্ত সিমাকে বার বার ফোন করা হলেও সে ফোন রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অনুপ সিংহ বলেন, বিষয়টি শুনেছি এবং আমার অফিস থেকে লোক পাঠিয়েছিলাম কিন্তু লুৎফেয়ারা দিলরুবা সিমা আক্তার কোন কথা শুনেননি। তিনি আরো বলেন কৃষককে আপাদত ফসল বাঁচাতে বিকল্প পদ্ধতি গ্রহনের জন্য বলেছি। বিষয়টি ইউএনও স্যার অবগত আছেন।
মন্তব্য করুন