এনামুল হক

প্রকাশিত: ২ এপ্রিল, ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

সাংবাদিক পরিচয়ধারী হাসান পুলিশের সোর্স

আহসানউল্লাহ হাসান। ছবি সংগৃহীত

সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের প্রধান হোতা আহসানউল্লাহ হাসানের বিষয়ে ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে রূপালী বাংলাদেশ অনুসন্ধান শুরুর পর মুখ খুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল।

দায়িত্বশীল একটি মহল বলেছে, হাসান মূলত পুলিশের সোর্স-চাঁদাবাজিই তার প্রধান পেশা। নির্বিঘ্নে চাঁদাবাজি করার জন্য হাসান বিভিন্ন ভুঁইফোড় পত্র-পত্রিকার ওপর ভর করে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। কখনও অপরাধ বিচিত্রা, কখনও নানা আন্ডারগ্রাউন্ড সাপ্তাহিকী- আবার কখনও বা
অখ্যাত কোনো অনলাইন পোর্টাল হয়ে ওঠে তার চাঁদাবাজির হাতিয়ার। সবচেয়ে ভয়াবহ চাঁদাবাজি হচ্ছে অপরাধ বিচিত্রা নামের একটি ম্যাগাজিনের নামে। এই ম্যাগাজিনের নিজস্ব কোনো পুঁজি নেইÑ চাঁদাবাজির অর্থেই চলে এর প্রকাশনা। ফলে, শুধু আহসানউল্লাহ হাসানই শুধু নয়, কম করে হলেও ডজনখানেক চাঁদাবাজ অপরাধ বিচিত্রার পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সেক্টর দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। এদের নেতৃত্ব দিচ্ছে হাসান এবং নেপথ্যে পত্রিকাটির সম্পাদক নামধারী ব্ল্যাকমেইলার মোর্শেদ। এই চক্রের প্রধান লক্ষ্যবস্তু বিভিন্ন শিল্প গ্রুপ এবং আবাসন খাতের কোম্পানীগুলো। মোটা অংকের প্রাপ্তি না ঘটিয়ে তারা পিছু হটে না। এদের যন্ত্রণায় এসব খাতের কর্তাব্যক্তিগণ এখন অতিষ্ঠ। মানসম্মানের ভয়ে এদের অপতৎপরতা মুখ বুজে সহ্য করায় এরা থেকে যাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ফলে এই চাঁদাবাজ-ব্ল্যাকমেইলার চক্রটি দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে ওঠছে এবং ফুলে-ফেঁপে ওঠছে তাদের পকেট।

অবশ্য চক্রটির গডফাদার এসএম মোর্শেদ একবার বায়তুুল মোকাররমের এক জুয়েলারীতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হন এবং পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। কয়েকদিন কারাবাসের পর তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও একই অপকর্মে লিপ্ত হন।

মন্তব্য করুন