নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ, ২০২৪, ০৮:০০ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

সিন্ডিকেটের কবলে টানবাজারের সুতার বাজার

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

এককালে নারায়াণগঞ্জের টানবাজার থেকে দেশের শতভাগ সুতার সরবরাহ করা হতো। কালের বিবর্তনে পাল্টেছে সব কিছু। তাঁতিদের নামমাত্র শুল্কে সুতা ও ক্যামিকেল আমদানির সুযোগ দেয়া হয়েছে । অথচ এ সুযোগের অপব্যবহার করে রাতারাতি সুতার কারবার করে ফুলে ফেপে উঠেছে অসাদু ব্যবসায়ীরা। শনিবার  (৩০ মার্চ) সরেজমিনে শহরের টানবাজারে ঘুরে এরকম তথ্যই পাওয়া যায়। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারায়াণগঞ্জে একসময় বিখ্যাত ছিল টানবাজারের সুতা। সময়ের সাথে সাথে শতবর্ষী সুতার বাজারটি সে জৌলুস হারাতে বসেছে।  নামেমাত্র শুল্কে সুতা ও ক্যামিকেল আমদানির সুযোগ তাঁতিদের দেয়া হয়। বিশেষ শুল্ক সুবিধায় আনা হয় এসব সুতা।

আরোও জানা গেছে,  আমদানি করা তাঁতের সুতার  বিশাল অংশ বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে খোলাবাজারে। এর পেছনে কাজ করছে বিশাল এক সিন্ডিকেট। ফলে অস্তিত্ব সংকটে ধুকছে বেশিরভাগ সুতা ব্যবসায়ী। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। 

টানবাজারের সুতা ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, বড় বড় সুতা ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা বাজারে সিন্ডিকেট করে রেখেছে। তারা ইচ্ছা মত বাজারে সুতার দাম নির্ধারণ করে। 

আল-আমিন ট্রডার্সের সত্ত্বাধিকারী মোঃ আবুল কাশেম বলেন , সব সময় ঈদের পূর্বে বেচা-কেনা ভালো হয়। কিন্তু এ বছর বাজার বেচা-কেনা একবারে কম। 

বাজারে সুতার সিন্ডিকেটের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন সুতার বাজার নরসিংদীতে চলে গেছে। সিন্ডিকেটের বিষয়টি ঠিক নয়।

টানবাজারে সুতা লোড আনলোড শ্রমিক আঃ করিম মিয়া জানান, আমরা কাজ করলে টাকা পাই। এখন ঈদের আগে সুতার বিক্রি কম। আমাদের কাজের চাপও কম। ঈদে আমাদের সাধারণ শ্রমিকদের কি উপায় হবে তা বলা যায় না। 

আরেক শ্রমিক সাদেক হোসেন জানান, এক সময় টানবাজারে সুতার ব্যবসা জমজমাট ছিল। এখন আগের মতো বাজারে ভিড় দেখা যায় না। মহাজনরা গদিতে বসেই সময় কাটায়। 

তিনি আরোও জানান,  বাজারে বেচা-কেনা কম। মাল লোড না করলে আমরা টাকা পাই না। আমাদের আর্থিক সংকটে ভুগতে হচ্ছে। 

বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা বলেন, বাজারে এখন লোকাল ট্রেডিং এর সুতা বেশি, আমদানিকারক খুব কম।  তাঁতিদের জন্য যে মাল আনা হয় তা ডিউটি দিয়ে আসে, ডিউটি ছাড়া আসে না। তাঁতিদের জন্য যে সুতা আমদানি করা হয়, সেটা তাদের থাকে।  মাল  ফুলপেইড হয়ে বাজারে আসে, খোলাবাজারে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। বর্তমানে বাজারে বেচা-কেনা বেশি ভালো নয়।

মন্তব্য করুন