বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৫ মে, ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া এলাকায় লাগা আগুন নেভাতে বনরক্ষী- ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি যোগ দিয়েছে নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার। 

রবিবার (৫ মে) সকালে নৌবাহিনীর মোংলা ঘাঁটির লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরফাতুল আরেফিনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি ফায়ার ফাইটিং টিম আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন। অপরদিকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলের প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের ভোলা নদী থেকে পানি উঠানোর জন্য পাইপ সংযোগ দেয়। তখন থেকে সকলের সম্মিলিত প্রচেস্টায় বিকাল ৪টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে মোটামুটি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনো বনের ভেতর কিছু কিছু ধোঁয়া উড়ছে। আগুন জাতে আবারো ব্যাপক এরিয়া ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখছেন ফায়ার ফাইটাররা।

আগুন নেভাতে যাওয়া সিপিজি টিমের সদস্য মণিময় মন্ডল বলেন, সকাল থেকে আমরবুনিয়া এলাকার চিলা নামক স্থানে আমরা আগুন নেভানোর কাজ করছি। এখানকার বড় ধরনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে বনের ভিতরে ধোঁয়া উড়ছে তাই অগ্নি নির্বাপন কাজ চলমান রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাটের উপ পরিচালক মামুন আহমেদ জানান, রবিবার (৫ মে) সকালেই সুন্দরবনের আগুন নেভাতে তাদের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসেছে। এর মধ্যে মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরনখোলার তিনটি ইউনিট কাজ করেছে। বাকি দুটি ইউনিট স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছিল। বর্তমানে ঘটনাস্থলে আগুন জ্বলতে না দেখা যাচ্ছে না। কোথাও কোথাও ধোয়া উড়তে দেখা যাচ্ছে। শুকনো পাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করার সম্ভাবনা নাই বলেও জানান তিনি।

সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম বলেন, গতকাল নানা প্রতিকূলতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। তবে রবিবার (৫ মে) সকাল থেকে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে কাজ করেছে। উপর থেকে হেলিকপ্টারে পানি ছেটানো হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরাও সব রকমের সহযোগিতা করছেন। খুব শীঘ্রই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। আগুন জাতে পুনরায় বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকেও খেয়াল রাখছে ফায়ার ফাইটাররা।

তিনি আরো বলেন, কিভাবে আগুন লেগেছে তার এখনও সঠিক কারণ বের করা যায়নি।  তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার সঠিক কারণের প্রতিবেদন জমা দেবেন এই কমিটি।

মন্তব্য করুন