রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১০:৪১ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

৩২ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনা; চালকের সাজা হাইকোর্টে বহাল

ছবি সংগৃহীত

রাজধানীর সাতরাস্তায় ৩২ বছর আগের একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আনা মামলায় দায়ী মিনিবাস চালক সেলিমের তিন বছরের সাজার রায় হাইকোর্টও বহাল রেখে রায় দিয়েছে।  ঘটনা ১৯৯২ সালের ফেব্রুয়ারির।
২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রায়টি দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ। গতকাল সোমবার এ রায় প্রকাশ করা হয়। শুনানিতে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো. আশেক মোমিন।


মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ১৯৯২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর সাতরাস্তায় একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মামলা করে ট্রাফিক বিভাগ। মামলার তদন্ত ও বিচার শেষে শুধু মিনিবাস চালকের সাজা হয়। সেই সাজা থেকে রেহাই পেতে আপিল ও রিভিশন করেন চালক সেলিম। ৩২ বছর পর হাইকোর্ট তার সাজা বহাল রেখে রায় দেয়। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার ত্রিশ দিনের মধ্যে আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আসামিকে গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট আবদুল জলিলের দায়ের করা এজাহারে বলা হয়, ১৯৯২ সালের ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যা সাতটায় তেজগাঁও পলিটেকনিকের কাছে সাতরাস্তার মহাখালী রোডে একটি মিনিবাস দ্রুতগতিতে ও বেপরোয়াভাবে চালিত হয়ে একটি বেবিটেক্সিকে ধাক্কা দেয়। এতে বেবিটেক্সি চালকসহ যাত্রীরা আহত হন। এক যাত্রী ও চালক হাসপাতালে ভর্তি হন। মিনিবাস চালক পালিয়ে যায়। মামলার তদন্তকালে বেবিটেক্সি চালক কলিমউদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন। তদন্ত শেষে মিনিবাস চালক সেলিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।  


এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ১৯৯৬ সালের ১৭ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রায় দেন। রায়ে সেলিমকে পৃথক ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদন্ড দেন। জামিনে থাকা সেলিম রায়ের সময় পলাতক ছিলেন। পরে মহানগর দায়রা আদালতে আপিল করা হয়। ৩৫৬৯ দিন পর এ আপিল করা হয়। ২০০৫ সালের ৩০ নভেম্বর আপিলটি গ্রহণ না করে সরাসরি খারিজ করেন মহানগর দায়রা জজ আদালত।


পরবর্তীতে এর বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিভিশন করেন সেলিম। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রায় দেয় হাইকোর্ট। আজ এ রায় প্রকাশ করা হলো। রায়ে রিভিশন খারিজ করে হাইকোর্ট বিচারিক আদালত ও আপিল আদালতের রায় বহাল রাখেন।

 

মন্তব্য করুন