কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ, ২০২৪, ০১:১৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

কারাগারে পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেনু

ব্যাংক ঋণ মওকুফ করাতে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার সই জাল

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

উত্তরা ব্যাংকের দুই কোটি ৫ লাখ টাকার ঋণ মওকুফের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে চিঠি ইস্যু করার মামলায় আদালত থেকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।এর আগে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) তিনি ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-৮ এ আত্মসমর্পণ করলে বিচারক আরফাতুল রাকিব তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মো. রফিকুল ইসলাম রেনু পলাতক থাকায় এর আগে একই আদালত থেকে গত ৪ জানুয়ারি সাজাপ্রাপ্ত হিসেবে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু পাকুন্দিয়া পৌরসভার মরুরা এলাকার মৃত ইমাম উদ্দিনের ছেলে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক।

মামলার তথ্যে জানা যায়, উত্তরা ব্যাংক মেসার্স এলিট আয়রন অ্যান্ড স্টিল জিপি শিট লিমিটেডের কাছে ঋণের দুই কোটি পাঁচ লাখ টাকা পায়। পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ ঋণ মওকুফ করে দেওয়ার কথা বলে কোম্পানির কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা নেন। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড.মসিউর রহমানের সই জাল করে ঋণ মওকুফের ব্যবস্থা নিতে উত্তরা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর একটি চিঠি ইস্যু করেন। চিঠিতে ড. মসিউর রহমানের জায়গায় ডা. মশিউর রহমান লেখায় উত্তরা ব্যাংকের এমডির সন্দেহ হয়। তিনি চিঠিটি যাচাইয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠান। সেখানে প্রমাণিত হয়, 

চিঠি ড. মশিউর রহমান এমন কোনো চিঠি ইস্যু করেন নি।

এঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল করিম ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল ঢাকার বংশাল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় একই কর্মকর্তা ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু সহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- মেসার্স এলিট আয়রন অ্যান্ড স্টিল জিপি শিট লিমিডেট পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন, চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন, পরিচালক আমজাদ হোসেন ও মনোয়ার হোসেন।

২০১৫ সালের ১১ জুনে মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে অপর আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে আদালত এ মামলায় দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

 

মন্তব্য করুন