মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ০২:২১ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

মানিকগঞ্জে ইউপি সদস্যের অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্য

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের জাফরগঞ্জে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বাণিজ্য করে যাচ্ছে তেওতা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান। 

জানা যায়, তেওতা ইউনিয়নের অন্তর্গত জাফরগঞ্জ যমুনা নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে ড্রেজিং মেশিন দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই ইউপি সদস্য।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যমুনা নদীর পাড় ঘেঁষে ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে, তার নিজ এলাকার বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে জায়গা ভরাট করছে । জনপ্রতিনিধি হওয়ার কারণে একপ্রকার প্রভাব বিস্তার করেই এই অবৈধ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি । একাধিক স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ মুখ খুলতে না চাইলেও জানিয়েছেন তীব্র নিন্দা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, একজন ইউপি সদস্য তিনি আমাদের জনপ্রতিনিধি! সে কিভাবে এই অবৈধ কাজ করে? যমুনা নদীতে এরকম ড্রেজিং এর ফলে নদী ভাঙ্গনে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। তাদের আমরা ভোট দিয়ে বানাইছি নদী ও বেরিবাঁধ রক্ষা যাতে করে সে জন্য। এসব কথা চাইলেও ভয়ে মুখ খুলে বলতে পারিনা , আপনারা আবার আমাগো নাম পেপারে লেইখেন না।

তবে সচেতন মহল বলছেন, নদীতে এ ধরনের মেশিন বসিয়ে ড্রেজিং করা, সরকারিভাবে দেওয়া বেরিবাদ ও নদীর জন্য ক্ষতিকর। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। শুধু মেম্বার না এরকম অনেকেই জড়িত আছে, অবৈধ ড্রেজার ব্যবসার সাথে । এ ধরনের অবৈধ ব্যবসা যাতে কেউ না করতে পারে, সেজন্য প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

এ বিষয়ে তেওতা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, ড্রেজার এটা আমারই, আপনাদের কোনো সমস্যা থাকলে বলতে পারেন। পরবর্তীতে তিনি দেখা করার কথা বলে ফোন কেটে দেন।

ঘটনার কিছুক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পর অচেনা এক নাম্বার থেকে এক ব্যক্তি ফোন দিয়ে বলেন, কি সমস্যা আপনাদের? আমাদের প্রেসক্লাবে মান্থলি করা আছে। আর কোনো কথা থাকলে, আমার সাথে সামনাসামনি এসে কথা বলুন।

এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বেল্লাল হোসেন বলেন, অবৈধভাবে ড্রেজারের অভিযান চলমান এবং অব্যাহত আছে। 

ইউপি সদস্যের ড্রেজার বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, বিষয়টা আমার জানা ছিলো না তবে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

মন্তব্য করুন