আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ০৩:২৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ভোটের অঙ্ক ভাঙতে পারে মোদির ৪০০ আসনের স্বপ্ন

নরেন্দ্র মোদি। ছবি সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে দলটির শীর্ষ নেতারা ভাবছে বিজেপি ৪০০ আসনের বেশি লোকসভা আসনে জয় নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সরকার গড়বে। এমনকি রাজ্য নেতৃত্বও মনে করে ৪০০ আসনের বেশি আসন পাবে বিজেপি।

যদিও দুই পর্বে ১৯০ আসনের ভোটের অঙ্কটা অন্যরকম ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে ‘আশঙ্কা’ করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিশেষ করে উত্তর প্রদেশের মুসলিম অধ্যুষিত ১৭ আসনের ভোটের হিসাবে ভাঙতে পারে মোদির লক্ষ্য জয়ের স্বপ্ন।

গো-বলয় বা হিন্দি বলয়ে ভোটে বড় ধাক্কা খেতে পারে গেরুয়া শিবির। প্রথম দফায় ৬৩ এবং পরের দফায় ৬১ শতাংশ ভোট পড়ায় বিজেপির নির্বাচন বিশ্লেষকরা রীতিমত চিন্তায় পড়েছেন।

শুধু তাই নয়, ৪০০ আসনের বেশি জয়ের যে টার্গেট মোদি দিয়েছিলেন- সেই লক্ষ্যমাত্রায় আদৌ পৌঁছানো সম্ভব নয় বলেও নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম দুই দফায় ভোটগ্রহণের পর এমনই নানা রকম আশঙ্কার পূর্বাভাস দিয়ে খবর প্রকাশ করছে, যা নিয়ে রীতিমত চর্চা শুরু রাজনৈতিক মহলে। 

তবে কেউ কেউ এটাও বলছেন, প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার ভোটে ১৯০ লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি গতবার জয় পাওয়া ৯২ আসন ধরে রাখলেও ৪০০ আসনের হিসাব অতিক্রম করবে।

তবে হিসাব পাল্টে দিতে পারে উত্তর প্রদেশের ৫৩ শতাংশ ভোটের গড়। রাজ্যটিতে বিজেপির ভোটব্যাংক বলে পরিচিত নিম্নবর্ণ এবং উচ্চবর্ণের হিন্দু ভোটাদের ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায়নি।

আবার উল্টোদিকে সংখ্যালঘু ও জাঠ সম্প্রদায়ের ভোটাররা যেভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন, তাতে ভোটের সমীকরণটাই পাল্টে যেতে পারে বলে মত অনেকের।

তারা বলছেন, দুই দফায় উত্তর প্রদেশে ভোট হয়েছে ১৭ লোকসভা আসনে। ৮০ আসনের উত্তর প্রদেশে ৭০ আসন না পেলে বিজেপির ৪০০ আসনের স্বপ্ন দিনের আলোর মতো ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে-সন্দেহ নেই। 

রাম মন্দির ইস্যু দেশটির সংখ্যালঘু, বিশেষ করে উত্তর প্রদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে মন খারাপের অন্যতম কারণ। তাই মুসলিম অধ্যুষিত এই ১৭ আসনের যদি বিজেপির পক্ষে ভোট না পড়ে- তবে গোটা উত্তর প্রদেশের ৭০-এর টার্গেট পূরণ হবে না গেরুয়া শিবিরের।

যদিও পঞ্চম দফায় ভোটে এখনো বাকি ৩৪৯ আসন। বিজেপি তথা এনডিএ শিবির প্রায় সব আসনে প্রার্থী দিয়ে লড়ছে। সেখানে কংগ্রেস তথা ইন্ডিয়া জোট সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। ফলে এখানে ভোটের অংকে কিছুটা আত্মবিশ্বাসী হওয়ার সুযোগ পাবেন নরেন্দ্র মোদি। তবে সব কিছু জানা যাবে ৪ জুন ফল প্রকাশের মধ্যদিয়ে। 

মন্তব্য করুন