ভৈরব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ভৈরবে দুর্বৃত্তের ইটের আঘাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু

ছবি সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুর্বৃত্তের ইটের আঘাতে রজব আলী নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) মধ্য রাতে উপজেলা কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের পোড়া শাহ পাগলার মাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রজব আলী একই ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে ভৈরব থানা পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেন অত্র ওয়ার্ড মেম্বার জাহান মিয়া। 

স্থানীয়রা জানান, নিহত রজব আলী একজন মাজার বক্ত লোক ছিল। এক সময় তিনি জুতার ব্যবসা করতেন। দীর্ঘ পাচঁ বছর যাবত মাজারের পাশে একটি টিনসেট ঘরে বসবাস করছেন। মাজার কর্তৃপক্ষ তাকে মাজারে চাবি দিয়ে রেখেছেন। তিনি মাজারে সার্বিক বিষয়ে তদারকি করতেন। নিহতের পরিবার সিলেটের মেন্দিবাগ এলাকায় বসবাস করেন। তার চারজন ছেলে সন্তান রয়েছে। রজব আলী ভৈরব থেকে সিলেটে পরিবারের কাছে মাঝে মধ্যে গিয়ে থাকতেন। 

৩নং ওয়ার্ড মেম্বার জাহান মিয়া জানান, রজব আলী একজন ভাল মানুষ ছিলেন। তার কোন শত্রু ছিল না। সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি কে বা কারা তাকে ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে। 

নিহতের বড় বোন রাহতুন বেগম বলেন, রাত ১০টায় আমার ভাই আমার সাথে দেখা করে এসেছে। ভাইয়ের ছেড়া বালিশটা সেলাই করে দেয়া কথা বলেছিল। মাজার পন্থি যাদের সাথে ভাই মিশতো তাদের মধ্যে থেকে যে কেউ আমার ভাইকে হত্যা করে থাকতে পারে। 

নিহতের বড় ভাই জনাব আলী বলেন, রাত ১১টায় আমার সাথে খাওয়া দাওয়া করে এসেছে। বাড়িতে ভাইয়ের বসত ঘর নির্মাণের জন্য আমার সাথে কথা হয়েছে। সকালে ভাইকে নিয়ে ছোট বোনের জামাইর কাছে বাড়ি করার টাকা আনতে যাওয়ার কথা ছিল। কে বা কারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমি দোষীদের সনাক্ত করে শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।

নিহতের চাচাতো ভাই দুলাল মিয়া বলেন, রাত দেড়টায় ভাইকে নিয়ে মাজারে একসাথে চা খেয়েছি। এ সময় রুমান মিয়া, কট্রা পাগলা, আবুল মিয়া, এরশাদ মিয়া নামের চারজন লোক আমাদের সাথে ছিল। আমি চলে যাওয়ার সময় তাদের মাজারে রেখে যায়। ভোর বেলা শুনতে পায় কে বা কারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে। তবে ঘটনার পর থেকে রাতে যাদের সাথে দেখে গেলাম কাউকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে মাজার কমিটির সভাপতি বসির উদ্দিন জানান, মাজার পন্থি যারা আছে তাদের সাথেই মিশতো রজব আলী। তাদের মধ্যেই কোন একটি ঘটনায় রজব আলীকে হত্যা করে থাকতে পারে। তবে পারিবারিক ও স্থানীয় ভাবে রজব আলীর কোন শত্রু ছিলনা।

এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো সফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে ইটের এলোপাথারি আঘাতে রজব আলীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও শরীরে কয়েকটি আঘাতের চিহৃ রয়েছে। প্রাথমিক সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরী করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য করুন