রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১ জুলাই, ২০২৪, ০২:০৮ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

র‌্যাব ডিজি

'দেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থান হবে না'

ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ বলেছেন, বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ একটি নিরাপদ দেশ। এ দেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থান হবে না।  

সোমবার (১ জুলাই) সকালে র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে পুরাতন গুলশান থানার ‘দীপ্ত শপথ’ ভাস্কর্যে হলি আর্টিজানে নিহতদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর পর এমন মন্তব্য করেন তিনি।

জঙ্গি নির্মূলে বাংলাদেশ কতটুকু সফল জানতে চাইলে র‍্যাব ডিজি বলেন, ২০১৬ সালের এই দিনে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। পরবর্তীতে র‍্যাব ও পুলিশ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে। অনেক জঙ্গি আস্তানা ধ্বংস করতে র‍্যাব ও পুলিশ সক্ষম হয়। অনেক জঙ্গিকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়।

তিনি বলেন, এখন আর ওইভাবে জঙ্গি তৎপরতার তথ্য নেই। জঙ্গিবাদ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে এখন নিরাপদ একটি দেশে।

জঙ্গি দমনে র‍্যাবের সফলতা নিয়ে তিনি বলেন, র‍্যাব সূচনালগ্ন থেকে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে আসছে। জঙ্গিবাদের বিষয়ে র‍্যাবের নজরদারি রয়েছে।  র‍্যাব এখন একটি আধুনিক এবং পেশাদার বাহিনী। ভবিষ্যতে এ দেশে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। র‍্যাবের সেই সক্ষমতা আছে।  

জঙ্গি সংগঠন আনসার ইসলাম ও আদালত থেকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা এসব বিষয়ে নজরদারি করছি। গত সপ্তাহেও চট্টগ্রাম থেকে তিন জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা কিন্তু সার্বক্ষণিকই জঙ্গিদের বিষয়ে নজরদারি করছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিরা এক সময় নানা প্রচারণা করার চেষ্টা করেছে। জঙ্গিরা ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করেছে এক সময়।  আমরা কিন্তু এসব বিষয়ে নজরদারি করছি। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডেও আমাদের নজরদারি রয়েছে। আমরা মানুষজনকে আশ্বস্ত করতে চাই এই দেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থান হবে না।


আট বছর আগে ২০১৬ সালে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। সেদিন নব্য জেএমবির পাঁচ জঙ্গি বেকারিতে ঢুকে প্রথমে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ১৮ বিদেশি নাগরিকসহ মোট ২২ জনকে হত্যা করে।

তাদের মধ্যে নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানের, একজন ভারতীয় এবং তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। তিনজন বাংলাদেশির মধ্যে একজনের দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে দুইজন সিনিয়র পুলিশ সদস্য নিহত হন।

পুরোরাত স্পর্শকাতর বিবেচনায় কয়েকবার প্রস্তুতি নেওয়া সত্ত্বেও অভিযান চালানো থেকে বিরত থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরদিন ‘থান্ডারবোল্ট’ নামে সেনাবাহিনীর কমান্ডোদের চালানো অভিযানে হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া পাঁচ জঙ্গির সবাই মারা যান। তারা হলেন- মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ওরফে মামুন, নিবরাজ ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মোট দেশি-বিদেশি মোট ৩২ জন নাগরিককে উদ্ধার করা হয়।

মন্তব্য করুন