রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯ মে, ২০২৪, ০৩:২৪ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

এমপি আনারের মেয়ে-ভাইকে নেওয়া হচ্ছে কলকাতায়

ছবি সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনস আবাসনে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার খুন হয়েছেন, সেই বিইউ ৫৬ ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কয়েকটি মাংসের টুকরো।

গতকাল মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরো ফরেনসিক স্টেটের জন্য আজ বুধবার ল্যাবে পাঠানো হবে। মাংসের টুকরো গুলো ‘মানুষ’র বলে প্রমাণ হলে ডিএনএ টেস্টের জন্য ডাকা হবে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনারের মেয়ে ডরিনকে। তারপরেই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে সেটি এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডিত অংশ কি না।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি-ডিবি) গোয়েন্দাপ্রধান হারুন অর রশীদ গতকাল মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন। এমপি আনার হত্যাকান্ডের তদন্ত করতে গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন ঢাকা কলকাতায় উড়ে গেছেন একটি টিম নিয়ে। তদন্ত চলাকালে  সেখানেই লাশের টুকরো উদ্ধারের তথ্য সামনে আসে। ডিবি ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাহেদুর রহমান তদন্ত টিমে কলকাতায় রয়েছন।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে মূল অপরাধীর কাছ থেকে যে যে তথ্য আমরা পেয়েছি, সেসব তথ্য নিয়েই কলকাতায় এসেছিলাম। আর সে কারণে বাংলাদেশ থেকে এসেই আমাদের প্রথম কাজ ছিল সঞ্জীবা গার্ডেনসের বিইউ ৫৬ নম্বর ফ্ল্যাট পরিদর্শন করা। পরিদর্শনের পরেই আমাদের তদন্তের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি এবং কলকাতা পুলিশকে অনুরোধ করেছিলাম, এই ফ্ল্যাটের কারা প্লাম্বিং এবং বিল্ডিংয়ের কাজটা করেছে তা জানতে। পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি এবং পুলিশ অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের প্রতিটা দাবি-দাওয়া মেনে নিয়েছে।

তারপরই তাদের সহযোগিতায় এদিন সেপটিক ট্যাংক থেকে বেশ কিছু মাংসের টুকরো উদ্ধার হয়েছে। এটা ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। তারপর ডিএনএ টেস্ট করা হবে। এরপরই আমরা নিশ্চিত হয়ে বলতে পারব সেটি এমপি আনারের দেহ কি না।

গোয়েন্দাপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, এ বিষয়ে সংসদ সদস্যের মেয়ে ডরিন আমার কাছে ফোনকল করেছিলেন। আমি তাকে বলেছি তৈরি হওয়ার জন্য। আসার জন্য প্রস্তুত হতে বলেছি। হয়তো অল্প ক'দিনের মধ্যেই তিনি চলে আসবে।

ডিবিপ্রধান বলেন, কলকাতায় খুব দ্রুত ফরেনসিক রিপোর্ট বের হয়ে যায়। এরপরই মৃত এমপি আনারের মেয়ে এবং ভাইকেও ডাকা হতে পারে। তারপরই আমরা এ বিষয়ে আপনাদের জানাবো।

কলকাতা সিআইডির তথ্য মতে, এদিন সেপটিক ট্যাংক থেকে ৩-৪ কেজি মাংসের সাথে কিছু চুলও উদ্ধার হয়েছে। এ বিষয়ে ডিবি প্রধান বলেন, আমরা পুরো বিষয়টা জানি। তবে ফরেনসিক বা ডিএনএর জন্য এক টুকরো মাংস হলেই যথেষ্ট।

তিনি বলেছেন, আমরা এখনই তল্লাশির কাজ শেষ করছি না। যেমন খাল বা বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশির কাজ চলছে, সেটা চলতে থাকবে।

মন্তব্য করুন