কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৪ জুলাই, ২০২৪, ১০:১০ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। চাকরিতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ বহাল রাখার দাবিতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’- ব্যানারে তিন ঘণ্টা এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

বৃস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ী এলাকা অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি সরকারের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিলে সড়ক ছেড়ে দেয় তারা।

ময়নামতি হাইওয়ে থানার ওসি ইকবাল বাহার জানান, শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে অন্তত ১৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে আবাসিক হল ও মেসের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়। এরপর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী কোটবাড়ি বিশ্বরোডের দিকে যাত্রা শুরু করলে তারা পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে জাদুঘর সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে কোটবাড়ি বিশ্বরোডে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল সাপেক্ষে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। আন্দোলনরত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বিএম সুমন বলেন, “স্বাধীন দেশের গণতন্ত্র মরে যেতে দেব না। সব রকম কোটা প্রথার বিলুপ্তি চাই।”

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এনায়েক হোসেন বলেন, “মেধাবীদের এভাবে বঞ্চিত করার অধিকার সরকারের নেই। এভাবে আমরা সবকিছু সহজভাবে মেনে নেব না। অবিলম্বে এই কোটা প্রথার বাতিল চাই।”

ওসি ইকবাল বাহার বলেন, “শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মহাসড়কের দুই লেনে এখনও তীব্র যানজট রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি।”

এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সম্পূর্ণ একমত বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী জানিয়েছেন।

 

মন্তব্য করুন