জিয়াউর রহমান সুমন

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ০৭:৪৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

গীতিকবি রবিউল আউয়ালের 'হাইকু' বইমেলায়

অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে গীতিকবি রবিউল আউয়ালের 'আড়াই শতাধিক বাংলা হাইকু' নামে  হাইকু কবিতার বই। তাঁর প্রথম প্রকাশিত বইটি একুশে বইমেলায় বের হয়েছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান সাহিত্যদেশ থেকে। এবারের বইমেলায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান সাহিত্যদেশ এর স্টল নম্বর ৩৪০-৩৪১। গত ৯ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ১১টায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান সাহিত্যদেশ স্টলে বইটি পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। 


জাপানি কবিদের হাতে রচিত তিন পঙক্তিবিশিষ্ট ৫-৭-৫ মাত্রা বিন্যাসের সংক্ষিপ্ত কবিতার নাম হাইকু। অন্যান্য কবিতার মতো ইংরেজি সাহিত্যে হাইকু'র আবির্ভাব হয়েছিলো ফরাসিদের হাত ধরে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৯১৩ সালে লেখা ভ্রমণ কাহিনী 'জাপানযাত্রী' বই থেকেই প্রথম বাংলা পাঠকরা হাইকু বিষয়ক ধারনা পায়। তারপর সুরেন্দ্রনাথ মৈত্র তার 'জাপানি ঝিনুক' নামের বইয়ে অনেকগুলো হাইকু লিখেছেন। কবি নির্মলেন্দু গুণ জাপান ভ্রমণের পর তাঁর ভ্রমণ কাহিনিতে হাইকুর প্রসঙ্গ তুলে কয়েকটি অনুবাদ ছেপেছেন। তবে প্রকরণসিদ্ধ বাংলা হাইকুর পথিকৃৎ কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক আবিদ আনোয়ার। তিনি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে ৫-৭-৫ মাত্রাবিন্যাসে তিন পঙক্তিবিশিষ্ট সংক্ষিপ্ত এই কবিতা বাংলায় রচনা প্রকরণসিদ্ধ হয় বলে অভিমত দেন। কেননা অন্যকোন ছন্দে ৫,৭,৫ মাত্রা নাই। যদিও অনেকে স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ও অক্ষরবৃত্ত ছন্দে ৫,৭,৫ মাত্রাবিন্যাসে লেখার চেষ্টা করেছেন এবং লিখেছেন। তবে কবি আবিদ আনোয়ারের দেখানো পথে এখন অনেক কবি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে ৫,৭,৫ মাত্রাবিন্যাসে হাইকু লিখছেন।


গীতিকবি রবিউল আউয়াল তাঁর প্রকাশিত আড়াই শতাধিক বাংলা হাইকু বইয়ে কবি আবিদ আনোয়ারের দেখানো নিয়ম মেনে লিখেছেন এবং তিনি বইটি আবিদ আনোয়ারকে উৎসর্গ করেছেন।
 
উলেখ্য, রবিউল আউয়াল চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার লুধুয়া গ্রামে ৪ঠা জুন ১৯৮৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পড়াশোনা হিসাব বিজ্ঞানে মাস্টার্স। ছাত্রজীবনে (ইন্টামিডিয়েট) দৈনিক আমার চাঁদপুর পত্রিকাতে কাজ করেছেন এবং জেলাভিত্তিক পত্রিকাতে নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে ছড়া, কবিতা ও গল্প। অভিমান করে দীর্ঘদিন লেখালেখি থেকে নিজেকে দূরে রাখলেও ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে আবারও লেখালেখিতে সক্রিয় হন তাঁরই ছোট ভাই ও সঙ্গীতাঙ্গনের সম্পাদকের অনুপ্রেরণায়। ইতোমধ্যে তাঁর লেখা শতাধিক গান প্রকাশিত হয়েছে, দেশ ও দেশের বাহিরে বিভিন্ন শিল্পীর কন্ঠে এবং তাঁরই লেখায় উপমহাদেশের কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী ওস্তাদ রাহাত ফতেহ আলী খান এর সর্বপ্রথম বাংলা গান ২০১৯ সালের ২৫ শে নভেম্বর প্রকাশিত হয়। বর্তমানে দেশের সঙ্গীত ভুবনে রয়েছেন সক্রিয়। আড়াই শতাধিক বাংলা হাইকু’ তাঁর প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ। শ্রোতাদের ভালবাসা প্রাপ্তির লক্ষ্যেই লিখতে চান জীবনের বাকীটা সময়।

মন্তব্য করুন