লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

নারীদের স্বাস্থ্য রক্ষায় অপরিহার্য যে খাবার

ছবি সংগৃহীত

সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন ঘটছে ধারাবাহিক জীবন পরিচালনা প্রক্রিয়ার। এক্ষেত্রে নারীদের কথাতো বলাই বাহুল্য। বর্তমান আধুনিক সময়ে একজন নারীকে অনেক কাজ সামলাতে হয়। অফিস থেকে শুরু করে গৃহস্থালীর কাজ, নানাদিকে তাকে ব্যস্ত থাকতে হয়। সবার জন্য ব্যস্ততায় তার আর নিজের দিকে তাকানোর সময় হয় না সব সময়। দৈনন্দিন খাদ্য এবং পুষ্টির প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার খাওয়া তার পক্ষে সম্ভব হয় না। কিন্তু নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য একজন নারীর প্রতিদিন কিছু পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা জরুরি।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এমনই কিছু খাবার সম্পর্কে-

 

১. পালং শাক

এই সবুজ শাক পুষ্টিগুণে অনন্য। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম যা পিরিয়ড সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূর করতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এটি পিএমএস-এর মতো সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে কাজ করে। পালং শাক খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং এটি হাড়কেও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। সুতরাং, এটি নারীর জন্য একটি সুপারফুড হিসেবে কাজ করে।

২. মসুর ডাল

কম দামে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে মসুর ডালের বিকল্প নেই। মসুর ডাল প্রোটিনের দিক থেকে যে কোনো উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবারের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এটি খাবারের তালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন, বিশেষ করে ৪০ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের জন্য। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় মসুর ডাল যোগ করুন। এতে দ্রুতই উপকৃত হবেন।

৪. দুধ

কর্মজীবী নারীদের ক্ষেত্রে হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়া খুবই স্বাভাবিক। সেখান থেকে অস্টিওপোরোসিসের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতাও দেখা দিতে পারে। দুধ ক্যালসিয়ামের একটি বড় উৎস এবং এটি আপনাকে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়ামও পৌঁছে দেবে। এছাড়াও এতে প্রোটিন, ফসফরাস, বি ভিটামিন কমপ্লেক্স, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন ডি রয়েছে। তাই নারীর খাবারের তালিকায় প্রতিদিন দুধ রাখা জরুরি।

 

বিভিন্ন রকম বাদাম

বাদামকে বলা হয় পুষ্টির আধার। এতে আছে ভিটামিন ই, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজসহ নানা পুষ্টি উপাদান, যা নারীর হাড়ের স্বাস্থ্য ও পেশির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নারীদের মাসিক শুরু হওয়া থেকে মেনোপোজ পর্যন্ত হরমোন ওঠানামা করে। এই হরমোন নিয়ন্ত্রণে বাদামের অনেক ভূমিকা রয়েছে। এ ছাড়া বাদামে রয়েছে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড। বাদাম প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোমের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে। এই ফ্যাটি অ্যাসিডগুলো মেজাজ, ঘুম এবং সামগ্রিক সুস্থতাকেও প্রভাবিত করে। বাদাম আয়রনের মাত্রা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। বিশেষ করে মাসিক, গর্ভাবস্থা ও বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় নারীর ডায়েটে পেস্তাবাদাম রাখলে আয়রনের মাত্রা বাড়ে। বাদাম ফোলেটসমৃদ্ধ বি ভিটামিন, যা গর্ভাবস্থায় মায়ের শক্তি বাড়ায়, শিশুর জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করে। আখরোটে অন্যান্য বাদামের চেয়ে ভিটামিন ই বেশি, যা নারীদের ফার্টিলিটি বাড়াতে সাহায্য করে।

 

৩. ওটস

ওটস স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস, যা দৈনন্দিন শক্তির চাহিদা বজায় রাখে। এতে অন্যান্য শস্যের তুলনায় বেশি প্রোটিন এবং চর্বি থাকে। সেইসঙ্গে ওটসে আরও থাকে স্বাস্থ্যকর ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। এগুলো নারীকে সুস্থ রাখতে দারুণ কার্যকরী।

৫. বিটরুট

বিটরুট ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস। এটি অন্ত্রকে সুস্থ রেখে পরিপাকতন্ত্রকে সুগম করে। বীটরুট এবং এর রস রক্ত প্রবাহের উন্নতি, নিম্ন রক্তচাপ এবং ব্যায়ামের কর্মক্ষমতার মতো অনেক উপকার করে। বিটরুটে অজৈব নাইট্রেটের উপস্থিতির কারণে এই সুবিধাগুলো পাওয়া যায়। তাই নারীর খাবারের তালিকায় বিটরুট যোগ করে নেওয়া জরুরি।

মন্তব্য করুন