তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০ জুন, ২০২৪, ০২:১৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

পাবজি খেলে বিশ্বকাপের খুব কাছে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

নেপালে ল্যানে চলমান পাবজি মোবাইলের পিএমএসএল স্প্রিং ২০২৪ যেটি কিনা ইস্পোর্টস ওয়ার্ল্ডকাপের কোয়ালিফায়ার হিসাবেও বিবেচিত হচ্ছে। এই ইস্পোর্টস টুর্নামেন্টের গ্রুপ স্টেজে ২০ দলের মধ্যে তিন সপ্তাহের তুমুল প্রতিযোগিতা শেষে এওয়ান ই-স্পোর্টস গ্র্যান্ড ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য ইস্পোর্টস ওয়ার্ল্ডকাপের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশি দল এওয়ান ইস্পোর্টস। যার প্রাইজমানি থাকছে বাংলাদেশি টাকায় ৩৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ছাড়াও সেখানে অংশগ্রহণ করেছে নেপাল, পাকিস্তান, মঙ্গোলিয়া, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, কাজাকিস্তান ও রাশিয়ার দলের প্লেয়ারগুলো।

বাংলাদেশ থেকে মোট দুটি দল এখানে অংশগ্রহণ করলেও ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে শুধুমাত্র এওয়ান ইস্পোর্টস। এই PMSL CSA ইস্পোর্টস টুর্নামেন্টের সর্বমোট প্রাইজপুল থাকছে বাংলাদেশি টাকায় ২ কোটি টাকা। এখান থেকে ৪টি টিম সরাসরি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য ইস্পোর্টস ওয়ার্ল্ড কাপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে।

এ বছর জুলাই মাসে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইস্পোর্টস ওয়ার্ল্ডকাপ সৌদি আরবে। যেখানে থাকছে ১৯টি গেমসের ইস্পোর্টস ভিত্তিক প্রতিযোগিতা এবং যার সর্বমোট প্রাইজমানি থাকছে ৬৫৮ কোটি টাকা।

বাংলাদেশে শত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও এ দেশের ইস্পোর্টস খেলোয়াড়রা এগিয়ে যাচ্ছে। যথাযথ সহযোগিতা পেলে আমাদের দেশের ছেলেরাও অনেক ভালো করবে বলে আশা করা যায়। কাজী আরাফাত হোসেন ২০২০ সালে A1 Esports প্রতিষ্ঠিত করেন, যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইস্পোর্টস দল। এই দলটি ২০২১ সালে দুবাইতে প্রথমবারের মত পাবজি মোবাইলের নিজস্ব ওয়ার্ল্ড কাপে অংশগ্রহণ করেছিল।

এবারের দলে রয়েছেন, মোহাম্মদ শাকিল ইনগেম-নেম সিনিস্টার, তাহসিনুল ইসলাম সামী ইনগেম-নেম হিটম্যান, ইমন শেখ ইনগেম-নেম রাউডি, হাসান মাহমুদ ইনগেম-নাম ডেটষ্ট্রম ও সাকায়াত হাবিব ইনগেম- নাম কে নাইন।

দলটিতে পরামর্শ হিসেবে রয়েছেন সাইবার একাত্তরের পরিচালক এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আব্দুল্লাহ আল জাবের, শরীফ নাজমুস সাকিব ও ইমরান হোসেন, রাকিব খান ও ইনান খান। দলটির ব্যবস্থাপনায় রয়েছে শ্রাবণ শান্ত, লিখন ও আফ্রিদি।

গেমিং ও ইস্পোর্টস; সিনেমা বা সংগীত ইন্ডাস্ট্রির চেয়েও অনেক বড়। এখন উপযুক্ত সময় এটা নিয়ে আমাদেরকে ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা করার। বিশ্বের সমস্ত দেশ ইস্পোর্টস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের পাশের দেশগুলো ইস্পোর্টসকে সরকারিভাবে স্বীকৃত দিচ্ছে। এমনকী মালয়েশিয়ার মতো দেশে ইস্পোর্টসকে জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাম্প্রতিক সময়ে তাদের দেশের গেমার ও ইস্পোর্টস অ্যাথলেটদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন; আগামী দিনে কীভাবে এই শিল্পটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় বিষয়ে। জাপানের স্কুলে ইস্পোর্টসকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সুতরাং আমাদেরও এই সম্ভাবনাময় ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে যথাযথ নীতিমালার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে এবং এখনই তার উপযুক্ত সময়। সরকারের সুনজর এখানে একান্তই কাম্য বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

মন্তব্য করুন