আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২ জুলাই, ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

সন্ধ্যা নামলেই হাটে আসেন ক্রেতা-বিক্রেতা

প্রতিদিন পান বিক্রি ৫০ লাখ টাকা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দিনের আলো গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেই হাটে আসেন ক্রেতা-বিক্রেতা। প্রতিদিন প্রায় ৪০ লাখ টাকা থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মত বেচা বিক্রি হয় এই হাটে। সন্ধ্যা থেকে গভির রাত পর্যন্ত চলতে থাকে বেচা বিক্রি। বলছি বরিশাল জেলা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরে একটি হাটের কথা।

ঢাকা-বরিশাল মহা সড়ক সংলগ্ন গৌরনদী উপজেলার পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ড টরকী নীলখোলা নামক স্থানের কথা। রাতের আধারে জমে উঠে এই হাটে পান বিক্রির বেচা কেনা। এই হাটকে ঘিড়ে গড়ে উঠেছে একাধীক পানের আড়ৎ। এর পাশা পাশি বসে কাঁচা বাজারের হাট। মাছ, মাংস, শাক, সবজিসহ নানা পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা।

সোনার মদীনা পান আড়তের মালিক ছলেমান হাওলাদার জানান, এখানে আগে সপ্তাহে ৫দিন পানের হাট বসত। এখন প্রতিদিনই পান নিয়ে আসেন পান চাষিরা। তবে এখানে প্রতিদিন যে কয়টি পানের আড়ৎ

বসে প্রায় ৪০ থেখে ৫০ লাখ টাকার পান বিক্রি করেন আড়তগুলো। এখানে প্রায় ১০টির মত পানের আড়ত রয়েছে। এরমধ্যে ভাই ভাই পান আড়ৎ, সোনার মদিনা পানের 'আড়ৎ, এলাহী ভরসা পানের আড়ৎ, নিউ সোনার বাংলা পানের আড়ৎ, শাপলা পানের আড়ৎ, টরকী পান ভান্ডার, জোনাকী পানের আড়ৎ, আজমিরী পানের আড়ৎ।

নিউ সোনার বাংলা পানের আড়তের পরিচালক আ. রাজ্জাক হাওলাদার জানান, এই হাটের পান চলে যায় দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় এবং পাশ্ববর্তী হাট- বাজারে এর মধ্যে মস্তফাপুর, টেকের হাট, সিলেট, ঢাকা, যশোর, চট্টগ্রাম, নোয়া খালি, চাদঁপুরসহ বিভিন্ন জেলায়। তবে শীত মৌসুমে পান লতা থেকে পড়ে যাওয়া চাষিরা বেশি লাভবান এখন একটু কম হচ্ছেন।

তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক সময় ক্ষতির মুখেও পড়েন পান চাষিরা। সে জন্য সরকারি প্রণোদনার দাবি জানান কৃষকরা।

পান চাষি মস্তফা মুন্সী জানান, পানের বরজ থেকে চাষিরা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পানের লতা থেকে পাঙ্গা হয়। পরে পান গুছিয়ে তা বাজারের বিক্রি করতে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। এজন্যেই পানের ফরিয়া বেপারী বা পাইকার রাতেই পান কিনতে আসেন।

মন্তব্য করুন