অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ০৪:০৯ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

বন্ধ করা হলো রাজধানীর ৬ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার

বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স প্রবেশপথে টাঙানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ ও লেবার রুম প্রটোকলসহ যে ১০ নির্দেশনা দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে তদারকি করতে অভিযান শুরু করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে দুটি টিম রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে অভিযান চালায়। প্রথম দিন নির্দেশনা না মানায় রাজধানীতে ছয়টি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান কালশী এবং সহকারী পরিচালক ডা. মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন মোহাম্মদপুর এলাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক-হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার সহকারী পরিচালক ডা. আহসানুল হক, ডা. মাসুদ রেজা খান এবং মেডিক্যাল অফিসার ডা. কাজী মো. সালেহীন তৌহিদ রামপুরা এলাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ছয়টি টিম পৃথকভাবে আগামীকাল (বুধবার) থেকে পূর্ণাঙ্গ অভিযানে নামবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেছেন, আমরা মোট ১২টি প্রতিষ্ঠান দেখেছি। এর মধ্যে ছয়টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি। বাকিগুলোকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হবে। বন্ধ করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর দুটির লাইসেন্স আপডেট ছিল না, বাকিগুলোর লাইসেন্সই ছিল না। মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারে দুটি ব্লাড ব্যাংক (রেডিয়াম ব্লাড ব্যাংক এবং রাজধানী ব্লাড ব্যাংক) ও একটি হাসপাতাল (টিজি হাসপাতাল) বন্ধ করেছি। ইসিবি চত্বরে আল হাকিমি চক্ষু হসপিটাল বন্ধ করেছি। কালশীতে এশিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও এইচএস ডায়ালাইসিস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে দুটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি। এগুলোর লাইসেন্স ছিল না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিক্যাল অফিসার ডা. কাজী মো. সালেহীন তৌহিদ বলেন, আজকে আমরা কঠোর কোনো অভিযান পরিচালনা করিনি। মহাপরিচালকের নির্দেশনায় আমাদের একাধিক টিম মিরপুর ও রামপুরা এলাকায় কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনায় সরকারের ১০ দফা নির্দেশনাগুলো ঠিকমতো মানছে কি না, সেগুলো মনিটর করা।

তিনি বলেন, আমরা রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় কয়েকটি হাসপাতালে গিয়েছি। ফরাজি হাসপাতালে গিয়ে কিছু সমস্যা পেয়েছি। সেগুলো সমাধানে তাদেরকে আমরা সতর্কতামূলক বার্তা দিয়ে এসেছি। এরকম বাকি সবগুলোতেই আমরা ছোট-খাটো যেসব সমস্যা পেয়েছি, সেগুলোর জন্য তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে এসেছি।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার জন্য ১০ দফা নতুন নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসব নির্দেশনা আবশ্যিকভাবে পরিপালন করতে হবে বলেও জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

মন্তব্য করুন