বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩ জুলাই, ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বাগেরহাটে রেমালের তাণ্ডবে ৪০০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বাগেরহাট জেলার ৪০০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া সেতু ও কালভার্টসহ ১২০টি অন্যান্য স্থাপনা বিভিন্ন মাত্রায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে জলোচ্ছ্বাসে সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। কোথাও কোথাও ইটের সলিংয়ের একাধিক স্থানে ভেঙে সমতল জমির সঙ্গে মিশে গেছে। আবার কোথাও গ্রামীণ সড়ক বিলীন হয়ে গেছে। জলোচ্ছ্বাসে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া সেতু, কাঠের পোল, কালভার্টসহ শতাধিক স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষর্থীরা। বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও বাগেরহাট সদরে যাতায়াতে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে পথচারী ও এলাকাবাসী। স্থানীয় ব্যবস্থায় সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছে অনেকে।

বাগেরহাটের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জানিয়েছে, এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫০ কোটি টাকা, ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, সেতু ও কালভার্টগুলোর জরুরি মেরামতের প্রয়োজন হলেও গত এক মাসে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

গত ২৭ মে বাংলাদেশে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকা রাস্তার বিটুমিন এবং কাঁচা রাস্তার ইট ও মাটি ধুয়ে সড়কগুলো যানবাহন ও পথচারীদের জন্য চলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

তার ওপর ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ও কালভার্টগুলো মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেক জায়গায় স্থানীয়রা বাঁশের অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করে চলাচল করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাটের এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরিফুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামোর পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি টাকার অংকে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। আমরা ইতোমধ্যে কিছু কাঁচা সড়ক সাময়িকভাবে মাটি দিয়ে মেরামত শুরু করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামোর বড় ধরনের মেরামত নতুন বাজেট বরাদ্দ এলে শুরু হবে।

মন্তব্য করুন