বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২ জুলাই, ২০২৪, ০৪:৫৩ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

দুই হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন পেলেন ববি

ইয়ামিন হক ববি। ছবি: সংগৃহীত

গুলশান থানায় হওয়া মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি।

গত ২৫ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা শুনানি শেষে দুই হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ২৩ জুন গুলশান থানায় ববির বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াইএন সেন্টারের এজিএম মুহাম্মাদ সাকিব উদ্দোজা। মামলায় মির্জা আবুল বাশার নামে আরেকজনকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাকিব উদ্দোজা ওয়াই এন সেন্টার এজিএম পদে প্রায় দুই মাস ধরে কর্মরত। ওই ভবনের সপ্তম তলায় ভুবান নামীয় রেস্টুরেন্টটি আবুল বাশার ও ববি প্রায় দুই মাস ধরে জোর করে দখল করার চেষ্টা করছে। রেস্টুরেন্টের মালিক তাদের বারবার রেস্টুরেন্ট ছেড়ে দিতে বললেও তারা কর্ণপাত করেননি।

পরে মালিক গত ২৩ জুন সেখানে নতুন তালা লাগিয়ে দেন। সেদিন দুপুর ১টার দিকে অনুমান ভবনের মেইন গেইট আটকানো ছিল এবং পকেট গেইটে সিকিউরিটি বসা ছিল। সিকিউরিটি গার্ড গেইট খুলে দেওয়ার আগেই আবুল বাসার গাড়ি দিয়ে মেইন গেইট ভেঙ্গে প্রবেশ করেন। এতে প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

এ সময় সাকিবের অফিস কলিগ বাধা দিলে আবুল বাশার তাকেও গাড়ি দিয়ে চাপা দিতে যায়। তখন তিনি সরে গেলে গাড়ি থেকে নেমে তাকে মারধর করেন আবুল বাশার। সাকিব বাধা দিলে নায়িকা ববি ও আবুল বাশার তার ওপর উত্তেজিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। তার পকেটে থাকা এক লাখ টাকাও নিয়ে নেন।

সূত্র জানায়, ববি ও মির্জা আবুল বাসার যৌথভাবে গুলশানের ওয়াই এন সেন্টারে একটি রেস্টুরেন্ট ক্রয় করেন। ওই রেস্টুরেন্টটি নায়িকা তার নামে নামকরণ করেন ‘ববস্টার’। এই রেস্টুরেন্টের আগের মালিককে ৫৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল ববি ও বাশারের। প্রথমে ১৫ লাখ, পরে ১০ লাখ টাকার চেক দিলেও দুটি চেকই বাউন্স করে। বারবার প্রথম পক্ষের মালিক টাকার জন্য তাগাদা দিলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধে। প্রথম পক্ষ টাকা চাইলে ববি ও তার পার্টনার আবুল বাসার তাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন।

এদিকে সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ববি জানান, রেস্টেুরেন্ট ব্যবসায় নেমে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারিতে বেইলি রোডে আগুন লাগার পর এই বিল্ডিংটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। কিন্তু ওই বিল্ডিংয়ে থাকা রেস্টুরেন্ট বাঁচাতে না পারার ভয়ে বিক্রেতারা সেটি বিক্রি করে টাকা তুলে নেওয়ার ফাঁদ পাতেন। সেই ফাঁদে আমাদের ফেলা হয়েছে।’

মন্তব্য করুন