রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫ মে, ২০২৪, ০২:৪০ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

রাবির হলে দু'পক্ষের সংঘর্ষ; ছাত্রলীগের চার নেতা বহিষ্কার

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ছাত্রলীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের ৪ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। 

বহিষ্কার হওয়া নেতারা হলো, রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কাবিরুজ্জামান রুহুল। 

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে তাদেরকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব উল্লেখিত ব্যক্তিদের আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।

এ বিষয়ে বহিষ্কৃত নেতা শাহিনুল সরকার ডন বলেন, 'আমাদের কি দোষ ছিল, কি কারণে আমাদের বহিষ্কার করা হলো আমরা কিছুই জানি না। আমাদের ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর জন্য।'

জানতে চাইলে আরেক বহিষ্কৃত নেতা আশিকুর রহমান অপু মুঠোফোনে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে হঠাৎ করে কেন বহিষ্কারের সীদ্ধান্ত নেওয়া হলো আমি জানি না৷ সম্প্রতি এমন কোনো ঘটনার সাথেও আমি সম্পৃক্ত না যেটা কোনো দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। আমি মনে করছি এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমাদের নামে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে।

তবে এ বিষয়ে বহিষ্কৃত অন্য দুই নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা সাড়া দেন নি।

জানতে চাইলে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন,  বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলে গত তিন চারদিন ধরে  বহিরাগত ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করছিল, তাদের বহিস্কার করেছে। এর মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হলো ছাত্রলীগে অন্যায়কারীর জায়গা নাই, অন্যায়কারীর কোনো দল বা পরিচয় থাকতে পারে না। অন্যায়কারীর পরিচয় শুধুই অন্যায়কারী। ভবিষ্যতে কেউ শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করার পূর্বে ভাবতে বাধ্য হবে এবং দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখবে।

মন্তব্য করুন