বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ০৭:০৬ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

শ্রমিক সংকটে বাগেরহাটের ধান চাষিরা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটে তাপ প্রবাহে কারণে শ্রমিক সংকটে ধান কাটতে পারছেন না ধান চাষিরা। বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি সময় তাপমাত্রা যেন ও কোনো ভাবেই কমছে না। তবে কোন ভাবেই দেখা নেই বৃষ্টির। সকাল থেকে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। 

দেশজুড়ে চলা গত কয়েক দিনের তীব্র তাপ প্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। গরমে দিশাহারা হয়ে পড়েছে মাঠে থাকা কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে এ সময় চরম বিপাকে পড়েছেন এ উপজেলার ইরি-বোরো ধান চাষিরা। তীব্র গরমে মাঠে ধান কাটার শ্রমিক সংকট, আর শ্রমিক পাওয়া গেলেও তাদের বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। 

মাঠে ক্ষেতের ধান পেকে গেছে আবার কিছু কাঁচা ধান কেটে ফেলতে বাধ্য হচ্ছে চাষিরা। তীব্র তাপ প্রবাহের পর যদি বৃষ্টি শুরু হয় খেতে ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮ হাজার ৪৭১ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ৭ হাজার ৭৬৫ হেক্টর এবং উচ্চফলনশীল (উফশী) জাতের ধান রয়েছে ৭০৬ হেক্টর। এরই মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে যান্ত্রিকভাবে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে শ্রমিক সংকট থাকায় সোনার ফসল ঘরে তুলতে হিমসিম খাচ্ছে কৃষকরা। 

এ দিকে কৃষকের মাঠের ধান ঘরে তুলতে ব্যবহার করা হচ্ছে রিপার, থ্রেসার, কম্বাইন্ড হারভেস্টারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি। এসব যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে কৃষকের কমেছে শ্রম ও খরচ, অপরদিকে বেড়েছে উৎপাদন। চলতি বোরো মৌসুমে এর সুফল পাচ্ছেন কৃষকরা। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখওয়াত হোসেন বলেন, কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের বিকল্প নেই। কৃষক ও কৃষির কল্যাণে কৃষি বিভাগ সেটাই করছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। এজন্য প্রত্যেককে অবশ্যই সঙ্গ পানি রাখা উচিত। গরমে শরীরে যাতে পানির ঘাটতি দেখা না দেয় এজন্য পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। 

মন্তব্য করুন