স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ০৯:২৮ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

স্বরূপকাঠিতে মামার লাঠির আঘাতে ভাগ্নে নিহত

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে মামার লাঠি আঘাতে ভাগ্নে মো. মাসুম (৫০) নামের এক রিকশাচালক নিহত হয়েছেন। সোমবার বিকেলে স্বরূপকাঠি সদর ইউনিয়নের রাহুতকাঠি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মঙ্গলবার ভোররাতে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত মাসুমের মেয়ে রুমি আক্তার বাদী হয়ে মঙ্গলবার নেছারাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ নিহতের মামা শাহাদাৎ হোসেন এবং মামী মরিয়ম বেগমকে গ্রেফতার করেছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যার পূর্ব মুহুর্তে সদর ইউনিয়নের বেলতলা নামক স্থানে স্বরূপকাঠি- কুনিয়ারী সড়ক দিয়ে রিকসাচালক মাসুম হেটে যাওয়ার সময় তার মামা শাহাদাৎ হোসেন লাটি দিয়ে মাসুমকে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে। এতে মাসুম জ্ঞান হারিয়ে রাস্তার ওপর পড়ে যায়। এরপর শাহাদাৎ লাঠি দিয়ে মাসুমের হাত ও পায়ে এলাপাতাড়িভাবে পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে রাস্তার ওপর মাসুমের রক্ত প্রবাহিত হতে দেখে স্থানীয় লোকজনের ধমকে শাহাদাৎ আহত মাসুমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত
চিকিৎসক তার অবস্থা খারাপ দেখে দ্রুত বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেলে স্থানন্তরিত করেন। মাসুমের শারিরিক অবস্থা খারাপ দেখে তাকে শের এ বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করিয়ে হাসপাতালে রেখে শাহাদাৎ সেখান থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী শাহাদাতের বাড়ীতে পাহারা বসিয়ে তাকে আটক করে থানায় খবর দিলে মধ্য রাতে পুলিশ শাহাদাৎ ও তার স্থী মরিয়মকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। ভোররাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুমের মৃত্যু হয়।

এলাকার বাসিন্দা আবুল বাশার ও পলাশ জানান, জমিজমা নিয়ে নিহত মাসুমের সাথে তার মামা শাহাদাতের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। তার জের ধরেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে শাহাদাৎ। নেছারাবাদ থানার ওসি মো. গোলাম সরওয়ার বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে
সহকারী পুলিশ সুপার (নেছারাবাদÑকাউখালী সার্কেল) মোসা. সাবিহা মেহেবুবা সহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সব কিছু খোজ খবর নিয়েছে। রাতে শাহাদাৎ হোসেন সাহেদ তড়িঘড়ি করে বাড়ীতে এসে কাপর চোপর ঘুছিয়ে পালানোর প্রস্তুতিকালে এলাবাসীর সহায়তায় তাকে ও তার স্ত্রী মরিয়মকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে রুমি আক্তার বাদী হয়ে চার জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মন্তব্য করুন