বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ০৬:২২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

হরিবাসর সমাপ্তির আগেই শিশুর গলা কেটে হত্যা, খুনি আটক

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কাকলী রানী তার ৫ বছর বয়সী শিশু পুত্র বন্ধন কুমার দাসকে সঙ্গে নিয়ে হরিবাসরে যান। সেখানে প্রসাদ বিতরণের কাজ করে কাকলী রানীর মামা সুকুমার দাস। হরিবাসর সমাপ্তির প্রাক্কালে শিশু বন্ধন কুমারের গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটে। ভাগনির পুত্রকে নিজ বাড়িতে গলাকেটে হত্যা করে সুকুমার। ঘটনার পরপরই খুনিকে আটক করেছে পুলিশ। 

বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের শশীবদনী হিন্দুপাড়া এলাকায় শিশুর গলা কেটে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটক সুকুমার দাস (৩৫) শশীবদনী হিন্দুপাড়ার ঝুমুর দাসের ছেলে। তিনি শিশু বন্ধনের মায়ের মামা। ঘটনার পর খুনি সুকুমার ওই ঘরের মধ্যে লুকিয়ে ছিল। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে শশীবদনী হিন্দুপাড়ায় হরিবাসর সমাপ্তির আগে শিশু বন্ধন কুমার দাসের (৫) গলায় ধান কাটার কাঁচি দিয়ে আঘাত করা হয়। নিহত শিশু গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার খানসামা গ্রামের রবি কুমার দাসের পুত্র। সে বাবা-মায়ের সঙ্গে বগুড়া সদর উপজেলার লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের বথুয়াবাড়ি গ্রামে নানার বাড়িতে থাকতো। শিশু বন্ধন তার মা কাকলী রানীর সঙ্গে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শশীবদনী গ্রামে হরিবাসর অনুষ্ঠানে এসেছিল। 

শিশুর পরিবার ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাকলীর মামা সুকুমার দুই শিশুকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। ভাগনির শিশু পুত্র বন্ধনের গলায় ধান কাটার কাঁচি দিয়ে আঘাত করে সুকুমার। এসময় চিৎকার দিয়ে আরেক শিশু সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। ওই শিশুর দৌড়ে গিয়ে স্থানীয়দের বিষয়টি জানায়। গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে আসে। পালানোর সুযোগ না পেয়ে ওই বাড়ির একটি ঘরে দরজা বন্ধ করে লুকিয়ে থাকে খুনি সুকুমার। স্থানীয়রা ওই শিশুকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক শিশুকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খুনি সুকুমার দাসকে আটক করে। 

স্থানীয়রা জানান, শশীবদনী এলাকায় মঙ্গলবার থেকে হরিবাসর শুরু হয়। শিশু বন্ধন কুমার তার মায়ের সঙ্গে মায়ের মামার (সুকুমার) বাড়িতে বেড়াতে আসে। গতকাল হরিবাসরে সারাদিন প্রসাদ বিতরণ করে সুকুমার। বৃহস্পতিবার হরিবাসর সমাপ্তির আগে ওই শিশুকে হত্যা করা হয়। 
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহিনুজ্জামান জানান, আটক সুকুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে শিশুর মা কাকলী রানীর মামা। নিহত শিশুর লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

মন্তব্য করুন