প্রকাশিত: ৫ মে, ২০২৪, ০১:৫৩ এ এম
অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া শহরের মালতিনগরে বসতবাড়িতে বিস্ফোরণে আহত তাসনিম বুশরা (১৪) মারা গেছেন।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় বুশরা মারা যায়। এর আগে গত রোববার বগুড়া শহরের মালতিনগর এলাকায় রেজাউল করিমের বাড়িতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বুশরার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার মামা রাশেদুল রিপন জানান, সেদিন বিস্ফোরণে আমার ভাগ্নি দগ্ধ এবং দেয়াল চাপায় গুরুতর আহত হয়। তাকে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তার অপারেশনও করা হয়। কিন্তু সে শঙ্কামুক্ত ছিল না। শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় সে আমাদের ছেড়ে চলে গেল।
গত রোববার মালতিনগর এলাকায় বিস্ফোরণে বসতবাড়ির টিনের ছাউনি উড়ে যায় এবং বাড়ির সামনের দুটি ঘরের ইটের দেয়াল ধসে পড়ে। এ সময় বাড়ির মালিক রেজাউল করিমের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা (৪০), কন্যা সুমাইয়া আকতার (১৫), বাড়ির মালিকের ভাই রাশেদুল ইসলামের কন্যা জিম আক্তার (১৬) ও তাদের প্রতিবেশী আলী হোসেনের কন্যা তাসনিম বুশরা (১৪) আহত হয়। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। বুশরার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাকে ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসক।
জানা গেছে, বাড়ির মালিক রেজাউলের মা রেজিয়া ও তার ছোট ভাই রাশেদুল দীর্ঘদিন ধরে ঘরেই পটকা তৈরির পর বাজারজাত করে আসছিলেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। বিস্ফোরণ ঘটনার রাতেই বাড়ির মালিক রেজাউলকে আটক করে পুলিশ। পরদিন সোমবার পুুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলায় রেজাউলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার পর থেকে রেজাউলের মা রেজিয়া বেগম ও ভাই রাশেদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
বিস্ফোরণ ঘটনার পরদির সোমবার রাতে ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের আট সদস্যদের একটি টিম এসে ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরক আলামত সংগ্রহ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তরিকুল ইসলাম জানান, বুশরার মৃত্যুর বিষয়টি তার জানা নেই। তবে শুরু থেকেই তার শারীরিক অবস্থা শঙ্কার মধ্যে ছিল। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন