ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

আখাউড়ায় আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ, হোটেল মালিকসহ আটক ৭

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় একটি আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে হোটেল মালিক, খদ্দের ও যৌনকর্মী সহ ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল)  রাত ১০ টায় আখাউড়া পৌরসভার সড়ক বাজারে অবস্থিত ভুইয়া আবাসিক হোটেলে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করেন। আটককৃতরা হলেন, ভুইয়া আবাসিক হোটেলের মালিক অত্র উপজেলার দক্ষিণ ইউপির ছোট কুড়িপাইকা গ্রামের মৃত রেয়াছত আলী ভুইয়ার ছেলে মো. জসীম ভুইয়া(৫০), আটক খদ্দেররা হলেন, গাজীপুর জেলা সদর থানার মোগর খাল এলাকার ছায়েম মিয়ার ছেলে নাঈম ভুইয়া(৪০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ঘাটিয়ারা গ্রামের হুমায়ূন কবিরের ছেলে মো. আশিক মিয়া (২২), বিজয়নগর উপজেলার মেরাসানী সরদার পাড়ার মৃত আঃ নুর এর ছেলে আঃ রহিম (৪৫)। আটক যৌনকর্মীরা হচ্ছেন, ঢাকা বনানী কালীগঞ্জ এলাকার মৃত জিন্নত আলীর মেয়ে মোছাঃ বৃষ্টি আক্তার (২৪), হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার মীরনগর গ্রামের আউয়াল মিয়ার মেয়ে স্মৃতি আক্তার (২৪), বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর এলাকার মৃত নুর মিয়ার মেয়ে ঝুমা আক্তার (২৯)।

এসময় উপস্থিত লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ নির্বিঘ্নে চলছে। কিছু দিন পর পরই এই হোটেল থেকে জনতার অভিযোগের ভিত্তিতে যৌনকর্মী খদ্দের সহ আটক করা হচ্ছে। এমনকি প্রকাশ্যে দিনেদুপুরে যৌনকর্মীরা হোটেলে উঠানামা করে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই আখাউড়ার কতিপয় আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ নির্বিঘ্নে চলছে। মাঝে মাঝে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন অভিযান চালায়। অভিযানের কিছুদিন যেতে না যেতে আবারও শুরু হয় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ। তাছাড়া আখাউড়া রেলওয়ে জংশন এলাকায় দিন রাত পতিতাদের আনাগোনা যেন ওপেন সিক্রেট। এছাড়া সড়কবাজারের মাছ বাজার সংলগ্ন একটি হোটেলেও যৌনকর্মীদের অবাধে চলাচল দেখা যায়। এসব অপকর্ম বছরের পর বছর চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী ও চরিত্রহীন মহল। এতে করে আখাউড়া সহ আশেপাশের বিভিন্ন উপজেলা ও জেলার  ছেলে মেয়েরা এসব অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। এতে আখাউড়ার সম্মান নষ্ট হচ্ছে বলে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে সচেতন মহল।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নূরে আলম বলেন, “আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে সড়ক বাজারের মাছ বাজার সংলগ্ন একটি হোটেল থেকে ৬ জনকে ধরে চালান দিয়েছি। রোজাতে এটা বন্ধ ছিল। গত পরশুদিন লিটন নামে একজনকে ধরে চালান দিয়েছি। সে (লিটন) নাকি ওই হোটেলে দালালি করে। আমরা তো সিলগালা করতে পারি নাই। এখন এগুলো ইউএনও স্যারকে বলে বন্ধ করে দিতে হবে।”

আখাউড়াতে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে গতকাল একটি আবাসিক হোটেল থেকে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে; আখাউড়াতে আরও কয়েকটি হোটেল আছে যেগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ আছে কিনা জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার বলেন, “এ বিষয়টা আমার জানা নাই। আমি নির্বাচনের ট্রেনিং এ ঢাকায়।

মন্তব্য করুন