ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:৪৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

কাঁঠালিয়ায় বীরমুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে হয়রানীর অভিযোগ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তানভির হাসান নামের এক বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী তানভির হাসান উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের লতাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্ধা। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও স্ত্রী। 

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার লতাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্ধা বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান শরীফ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে  ল্যান্স নায়েক পদে চাকুরি করতেন। চাকুরি সুবাধে সপরিবারে এলাকার বাহিরে থাকতেন।

দীর্ঘদিন বাড়ীর বাহিরে থাকায়, মুক্তিযোদ্ধার বসত বাড়ীর জমি দখল করেন একই বাড়ীর আবদুল মালেক। মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান শরীফ মারা যাবার পর তার স্ত্রী সন্তান বাড়ীতে আসেন। থাকার জন্য ঘর নির্মাণ করতে গেলে সেখানে বাঁধা দেন আবদুল মালেক। এনিয়ে থানায় অভিযোগ করেন তানভির হাসান। পরে স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠক হয়। শালিস বৈঠকের রায় মানেনা আবদুল মালেক। পরে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী জাহানারা বেগম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি তদন্ত করে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলে জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন ইউএনও। চেয়ারম্যান একাধিকবার নোটিশ করেও মালেককে পরিষদে হাজির করতে পারেনি। 

ভুক্তভোগী তানভির হাসান জানান, জমি নিয়ে বিরোধে তাকে মারধর করা হয়েছে। এখন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে আবদুল মালেক। 

তানভির হাসান আরো জানান, জমির জটিলতার জন্য সরকারী বরাদ্দ ”বীর নিবাস” পাচ্ছেনা তারা।

খুন জখমের কথা অস্বীকার করে আবদুল মালেক বলেন, মুক্তিযোদ্ধার জমি কোথায় তা তিনি জানেন না।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদ হোসেন রিপন জানান, মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী জাহানারা বেগম একই বাড়ীর আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেন। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আমাকে নির্দেশ দেন ইউএরও স্যার।

একাধিকবার নোটিশ করেও মালেককে পরিষদে হাজির করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.নেছার উদ্দিন জানান, জমি থাকতেও একজন বীরমুক্তিযোদ্ধার পরিবার বসবাসের জন্য ঘর তুলতে পারবেনা এটা দুঃখজনক। বিষয়টি আমি দেখছি। 

মন্তব্য করুন