আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

গাজায় এক বছরের শিশুর মুখে ২০০ সেলাই

ছবি সংগৃহীত

ফিলিস্তিনে গাজায় চলমান ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞে নিহত প্রায় ১৪ হাজার শিশুর পাশাপাশি আহত হয়েছে অন্তত ১২ হাজার শিশু। তার মধ্যেই একজন সানাদ আল আরাবি। ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর হামলা থেকে এক বছরের এই শিশু বেঁচে গেলেও ভোগ করছে অবর্ণনীয় যন্ত্রণা। তার মুখে ২০০টি সেলাই পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বাঁ হাত। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এক বছরের এই শিশু হারিয়েছে তার পরিবারের ১০ জন সদস্যকে। বিধ্বস্ত হয়ে গেছে তার বাসস্থান। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার বাঁ হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সানাদের জিহ্বার একটি অংশও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তা ছাড়া, ডান হাতের কিছু অংশও কেটে ফেলতে হবে।

সানাদের দাদি মারওয়া আল আরাবি বলেন, ‘এই শিশুকে যদি চিকিৎসার জন্য গাজার বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না হয়, তবে তাকে বাঁচানো না-ও যেতে পারে। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় সানাদের এক হাত উড়ে গেছে। এখন চিকিৎসকেরা বলছেন, আরেক হাতও কেটে ফেলতে হবে। ওর দিকে দেখুন—এখনই এক হাত নেই ওর। আরেক হাতও কেটে ফেললে ও পঙ্গু হয়ে যাবে।’

সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে সানাদের পরিবার।

সানাদের বাবা মোহাম্মেদ আল আরাবি বলেন, ‘আমি আমার সন্তানের চিকিৎসার জন্য আরব দেশগুলোর কাছে আবেদন জানাই। আমাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সানাদের ক্ষতই সবচেয়ে মারাত্মক। ওর ডান হাতে টিয়ার শেল বিদ্ধ হয়েছে। হাতটিতে আর কোনো সাড়া পাচ্ছে না সে। আমি তাই সব আরব দেশের কাছে আহ্বান জানাই। অন্য সব শিশুর মতো করেই সানাদকে দেখুন—সে যেন নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন পায়।’

সানাদের পরিবার জানিয়েছে, চিকিৎসার জন্য এই শিশুকে কাতার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সানাদের এই গল্প নাড়িয়ে দিয়েছে অনেক শিল্পীকে। সানাদের ছবি এঁকে অনলাইনে পোস্ট করে যুদ্ধের অবসান চেয়েছেন তাঁরা।

গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১০ জন করে শিশু ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হারাচ্ছে একটি বাঁ দুটি পা। তাদের অধিকাংশই পাচ্ছে না পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা। জাতিসংঘের মতে, গাজা উপত্যকার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে এখন মাত্র ১১টি চলছে।

মন্তব্য করুন