রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৫ জুন, ২০২৪, ০৮:১১ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বাঘাইছড়িতে জমে উঠেছে পশুর হাট

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে জমে উঠেছে  জমজমাট পাহাড়ি গরুর বিশাল কোরবানি হাট। উপজেলার প্রবেশপথেই প্রায় এক একর জায়গাজুড়ে এই হাট স্থাপন করেছে রাঙামাটি জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রাধীন বাজারটি । 

উপজেলার সীমান্তবর্তী সাজেক, দোসর, নিউলংকরসহ দূরদূরান্ত থেকে এসব গরু সাত থেকে আট দিন পায়ে হেঁটে উপজেলা সদর পশুর হাটে আসছে। কোন ধরনের মোটাতাজা করণ ওষুধ ছাড়াই পাহাড়ি এসব গরু বনে জগলে স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠায় দেখতে বেশ হৃষ্টপুষ্ট। তাই সহজেই ক্রেতাদের মন কাড়ছে এসব গরু। 

বুধবার সপ্তাহিক হাটে গিয়ে দেখা যায়, মাঝারি সাইজের কয়েকটি গরু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ হাজার এবং বড় সাইজের গরু বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ থেকে আড়াই  লাখ টাকা পর্যন্ত। 

এ ছাড়া বিদেশি গরুর দাম ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা হাঁকা হলেও ক্রেতাদের আগ্রহ কম। বিভিন্ন সাইজের গরুর পাশাপাশি এই হাটে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগলও। একেকটি বড় আকারের খাসি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা।

তবে চট্টগ্রাম ঢাকাসহ বিভিন্ন এলকার ব্যবসায়ী বাজারে না আসায় বাজারে গরুর দাম বেশ কম তাই  খামারিদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে ।

প্রতিটি গরু বিক্রির পূর্বেই উপজেলা পশু সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একজন উপ-সহকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় নিয়মিত । পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্ব প্রাপ্ত  উপজেলা পশু সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রনয় খীসা বলেন, এবার হাটে স্থানীয় ভাবে বেড়ে ওঠা প্রচুর গবাদিপশু সরবরাহ রয়েছে। এসব গরুতে কোন ধরনের মোটাতাজা করন ট্যাবলেট বা ইনজেকশন দেয়া হয়নি তাই প্রতিটি গরু স্বাস্থ্য সম্মত।

 পশুর হাট ইজারাদার আব্দুর রহমান বলেন, গতবছরের তুলনায় এবার বাজারে পশুর সংখ্যা বেশী হলেও ব্যাবসায়ী কম তারপরও এবার ৮-১০ কোটি টাকার লেনদেন হবে  বলে আশা করছি।

 উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি থাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেশ ভালো।  পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে  বাঘাইছড়ি উপজেলার বৃহৎ এই পশুর হাট

 উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, অনেক একটা সুন্দর পশুর হাট বসেছে এখানে। এতে ক্রেতা বিত্রেতা সবার সহযোগিতা চাই। পশুর হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। 

মন্তব্য করুন