সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৪ মে, ২০২৪, ০৪:১০ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

মসজিদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, নামাজ শেষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা পদ থেকে বহিষ্কার করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মোতওয়াল্লি ও কমিটির কয়েকজন সদস্যকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে জাতীয় পার্টির নেতা কাজী মহসিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। এ সময় উত্তেজিত মুসল্লিরা ধাওয়া করলে দুপক্ষে মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।

আজ শুক্রবার (৩ মে) জুমার নামাজ শেষে গোদনাইল তাঁতখানা বউবাজার এলাকায় আল মদিনা জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিকেল ৫টায় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম হাসান ও মোতওয়াল্লি মো. সেলিম ভূঁইয়া সাংবাদিক সম্মেলন করে মহসিন ও তার বাহিনীর বিভিন্ন অন্যায় অপকর্ম তুলে ধরেন।

শামীম হাসান বলেন, বিভিন্ন সময় মসজিদের অনুদান আত্মসাৎ ও এলাকায় নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকায় মসজিদ কমিটির সভায় প্রধান উপদেষ্টা পদ থেকে কাজী মহসিন ও সহ-সম্পাদক পদ থেকে তার ছোট ভাই কাজী ওয়াসিমকে বহিষ্কার করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর মোতাওয়াল্লি সেলিম ভূঁইয়াসহ কয়েকজন সদস্যকে মারধর করেন মহসিন ও তার লোকজন।

মসজিদের মোতাওয়াল্লি মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় মসজিদ কমিটির সভায় অশালীন কথা বলার প্রতিবাদ করায় মহসিন আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। সভাতেই তিনি আমাকে মারধর ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে আমি তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করি। রাতের সভায় মহসিন ও তার ভাইকে কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তা জুমার নামাজের আগে মুসল্লিদের জানিয়ে দেই। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়েই মহসিন ও তার লোকজন আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি কাজী মহসিন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, কমিটি থেকে বহিষ্কার নিয়ে আমার কোনো ক্ষোভ নেই। মসজিদের নলকূপ থেকে এলাকাবাসী পানি নেয়। এতে বাধা দেন সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসান ও মোতওয়াল্লি সেলিম ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার রাতের সভায় আমি পানি নেওয়ার বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করায় তারা উত্তেজিত হয়ে হন। এর জের ধরে শুক্রবার বাদ জুমা আমাকে ধাওয়া ও আমার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে তাদের লোকজন।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রহুল আমিন মোল্লা বলেন, মসজিদ কমিটির দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিরোধ নিস্পত্তি করতে রবিবার সকালে বৈঠকে বসার দিন ঠিক করা হয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহিম বলেন, মসজিদ কমিটির দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর শুনেছি। পরে এ বিষয়ে খোঁজ নিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি। 

মন্তব্য করুন