বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ মে, ২০২৪, ০৩:৫৯ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

মিঠুনের সঙ্গে কেন বিয়ে হয়নি জানালেন অভিনেত্রী মমতা

ছবি সংগৃহীত

অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর। দু’জনার মধ্যকার প্রেমের সম্পর্কের কথা দুই পরিবারের মানুষই জানতো। এমনকি তাদের বিয়ের তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই দু’দিকে সরে যান তারা। অনেকটা নাটকীয়তার মতো ১৯৭৮ সালে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন এ অভিনেত্রী। আর একই বছর প্রথম বিয়ে হয় মিঠুনের।

অভিনেত্রী মমতার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে অনেক আগেই অভিনেতা জানিয়েছেন, তার নায়িকারা বইতে। আর এবার সেই সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বললেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মমতা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী এ অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বাপিদা (চন্দ্রদয় ঘোষ, বর্তমান স্বামী)-এর সঙ্গে ওই সময় আমার কথা চলছিল। তারপর মৃগয়ার শুটিংয়ে মিঠুনের সঙ্গে আলাপ হয়। বাপিদার সঙ্গেও আলাপ করিয়ে দিয়েছিলাম মিঠুনের। কিন্তু সেটে কোথায় থেকে কী হয়ে গেল। তখন নিজেকে অনেক কষ্টে ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। বাপিদাকে ঠকাব না আমি। এরপরও কীভাবে যেন কী হয়ে গেল।

মমতা বলেন, একদিকে ভালো হয়েছে, বাপিদাকে আরও ভালো করে চিনতে পেরেছি। কারও সঙ্গে কিছু না হলে হয়তো এত ভালো করে তাকে চিনতে পারতাম না। মিঠুনের বাড়ির মানুষের সঙ্গেও আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। ওর বোনরা আমার খোঁজ-খবর নিতো নিয়মিত। তবে মিঠুনের সঙ্গে বিয়ের তারিখ ঠিক হলেও বিয়ে আর হয়ে উঠে না। আসলে মিঠুনই তখন বিয়ের জন্য রাজি ছিল না। আরও কিছুটা সময় চাইছিল। ক্যারিয়ারে সফলতা আসা শুরু করেছিল। এসব রেখে বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল না তার।

এ অভিনেত্রী বলেন, তারপরই সেই পুরনো প্রেম। বাপিদা, যে আমার বর্তমান স্বামী, তার কাছে ফিরি। এই উদ্যোগটা অবশ্য তার পক্ষ থেকেই ছিল। হবু শাশুড়িও ফোন করেছিল। তিনি ফোন করে বাপিদার সঙ্গে কথা বলতে বলেছিলেন। সে ফোন করে এমনভাবে কথা বলা শুরু করল, যেন আমাদের মধ্যে কিছুই হয়নি। তবে আমি ওর গলা শুনে কেঁদে অস্থির। তখন সে আমাকে বলেছিল, মমতা, আই হেট টিয়ার্স। কথা বলার অবস্থায় ছিলাম না। ফোন রাখতে চাইলে সে বলে, কথা দাও ফোন করবে। তবে কাল না, পরশু। এরপর নিজেই বলে, কাল একটা মেয়ে দেখতে যাচ্ছি। আমার জন্য নয়, বন্ধুর জন্য। তারপর তাকে প্রশ্ন করি, তোমার জন্য কবে মেয়ে দেখবে? সে বলে, আমি তো সেই কবেই দেখে রেখেছি।

তারপর এ অভিনেত্রী নিজে গিয়েই মিঠুনকে বিয়ের খবর দিয়েছিলেন। একটি রেকর্ডিং স্টুডিওতে মুখোমুখি হতেই বলেছিলেন, তোর সঙ্গে একটা কথা আছে। মিঠুনও বুঝে নিয়েছিলেন। বলেন, কী বলবি? বিয়ে করছিস তো? আমিও বিয়ে করছি।

এছাড়া মুম্বাই গিয়ে মিঠুনের সঙ্গে সারিকাসহ আরও কয়েকজনের সম্পর্কের আভাস পেয়েও নাকি এ অভিনেতার থেকে সরে আসতে চাইছিলেন মমতা। এ ব্যাপারে অভিনেত্রী বলেন, এসব হয়েছিল ঠিকই। তবে পরে আমাকে মিঠুন বলেছিল, এসব ওর ক্যারিয়ারের জন্য করতে হয়েছিল। তেমন সিরিয়াস কিছু ছিল না। 

এদিকে বর্তমানে মিঠুন ও মমতা এখন বেশ ভালো বন্ধু এবং সহকর্মী। প্রজাপতি সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন তারা। সেখানে তাদের দু’জনের কেমিস্ট্রি বেশ ভালোভাবে গ্রহণ করেছে দর্শকরা।

মন্তব্য করুন