বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩ জুলাই, ২০২৪, ০৪:১৯ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

বগুড়ায় গৃহবধূ ও হোটেল ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়া সদরে পাখি আক্তার সম্পা নামের গৃহবধূ ও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় মোশারফ হোসেন নামের হোটেল ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্ত্রীকে নির্যাতনসহ আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় গৃহবধুর স্বামী রুনু প্রামানিককে আটক করেছে পুলিশ। 

নিহত হোটেল ব্যবসায়ী মোশারফ তালোড়া পৌরসভার সাবলা এলাকার বাসিন্দা এবং গৃহবধূ সম্পা বগুড়া শহরের মালগ্রাম উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। দুই উপজেলার পৃথক ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে দুপচাঁচিয়ার তালোড়া রেলঘুমটি এলাকার একটি হোটেলের বাইরে ঘরের মধ্যে ব্যবসায়ীকে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। জীবিত ভেবে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, তালোড়া পৌরসভার সাবলা এলাকার মাহফুজার রহমানের ছেলে মোশারফ হোসেন ঘটনার মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার হোটেলে অবস্থান করছিলেন। দুপুরের দিকে তাকে না পেয়ে খোঁজ করে হোটেলের লোকজন। হোটেল থেকে প্রায় ১’শ গজ দূরে রান্না করা ঘরের পাশের ঘরে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। 

দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার জানান, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

অন্যদিকে সোমবার বিকেলে বগুড়া শহরের জামিলনগর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূ পাখি আক্তার সম্পার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ রেকর্ড করা একটি ভিডিও পাওয়া যায়। 

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, সোমবার বিকেলে ওই নারীর লাশ উদ্ধারের পর তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে ভিডিও বক্তব্য পাওয়া যায়। এ ঘটনায় স্বামী রুনু প্রামানিককে আটক করা হয়। 

মঙ্গলবার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে রুনুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার রাতে নিহত নারীর ভাই মুক্তার হোসেন বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন বলে জানান ওসি। 

১ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে গৃহবধূ সম্পা উল্লেখ করেন, প্রথম স্ত্রী থাকার পরও তাকে বিয়ে করে জামিলনগরে ভাড়া বাড়িতে রাখে স্বামী রুনু প্রামানিক।  মাঝেমধ্যেই তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। স্বামীর অত্যাচারে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন উল্লেখ করে মোবাইলে বক্তব্য রেকর্ড করেন। পরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। 

মন্তব্য করুন