আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩০ মে, ২০২৪, ০৮:১৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

আগৈলঝাড়ায় সেতু ধসে খালে, ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সেতু খালের মধ্যে ধসে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে তিন গ্রামের ১০ হাজার মানুষ। বিকল্প যাতায়াতের পথ না থাকায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। এমনকি কৃষক, ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য পেশার মানুষও কাজে যেতে পারছেন না।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) থেকে জানা গেছে, সেতুটি উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের রামেরবাজার থেকে সাহেবেরহাট খালের ওপর নির্মিত। ২০০০ সালে এলজিইডির অর্থায়নে নির্মিত সেতুটি মাঝের অংশ দেবে যাওয়ার ছয় বছর পর ভেঙে পড়ে।

এলাকাবাসী জানান, সেতুটির মাঝের অংশ দেবে যাওয়ার ছয় বছর পরও এলজিইডি বিভাগকে জানালেও তারা সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা করেনি। গত বুধবার রাতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি খালের মধ্যে ধসে পড়ে।

একমাত্র সেতুটি ধসে পড়ায় চলাচল করা যাচ্ছে না। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। বিকল্প কোনো যাতায়াতের পথ না থাকায় সেতুর পাশে সাঁকো নির্মাণ করে পার হচ্ছে গ্রামবাসী। সেতুটির লোহার খুঁটি ও ঢালাই স্ল্যাব ধসে যাওয়ায় পশ্চিম মোল্লাপাড়া, দীঘিবালী ও ঐচারমাঠ গ্রামের শতাধিক পরিবারের প্রায় ১০ হাজার মানুষ এখন চলাচলের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে।

পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় সাংবাদিক প্রবীর বিশ্বাস ননী বলেন, ‘এই সেতুর ওপর দিয়ে তাঁদের উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হয়। সেতুটি ধসে পড়ায় এখন আর কোনো যানবাহন নিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে পার হয়ে হেঁটে বাড়ি যেতে হচ্ছে।’ 

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, ‘এই সেতুর ওপর দিয়ে পশ্চিম মোল্লাপাড়া, দীঘিবালী ও ঐচারমাঠ গ্রামের শতাধিক পরিবারের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য অমল হালদার বলেন, ২০০০ সালে নির্মিত এই সেতুতে মানুষ উঠলেই সবাই আতঙ্কে থাকত। অথচ সেতুটি মেরামতের জন্য বারবার বলা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো মাথাব্যথাই নেই।

ধান ব্যবসায়ী অজয় সমদ্দার বলেন, ‘এই এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়ে থাকে। এখানকার চাষিরা ধান বিক্রি করতে চাইলেও শুধু ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর কারণে কোনো পরিবহন নিতে না পারায় ধান কিনতে পারছি না।’ 

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু ধসে পড়ার খবর পেয়েছি। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান করা হবে। সেতুটি সংস্কার করা হলে এই এলাকার মানুষসহ আশপাশের অনেক গ্রামের মানুষ উপকার হবে।

মন্তব্য করুন