গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ, ২০২৪, ০৬:০০ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

গোবিন্দগঞ্জে আড়াই কোটি টাকার গার্ডার ব্রীজ বাঁশের প্যালাসাইডিং

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় আমফান প্রকল্পের অধীনে আড়াই কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত গার্ডার ব্রীজের সংযোগ সড়কে প্যালাসাইডিং হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ। ফলে সংযোগ সড়কটি ভারি যানবাহন চলাচলে ধসে পড়ার আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসী।

তারা মনে করেন, সংযোগ সড়ক নির্মাণে টেকসই পরিকল্পনা না থাকায় বছর না যেতেই সড়ক চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় জনদুর্ভোগ বাড়বে।

জানা গেছে, উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের পাইকরভিটা থেকে তালুককানুর ইউনিয়নের জামালপুর হাট সড়কের পোগইল শিমুলতলি বাজার সংলগ্ন দক্ষিণপাশে আমফান প্রকল্পের অর্থায়নে এলজিইডি ব্রীজটি নির্মাণের কাজ শুরু করে। ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর ২৪ মিটার ৮ সিসি এই গার্ডার ব্রীজটি নির্মাণে কার্যাদেশ পান এমডি মোকাদ্দেস আলী বাদু। ব্রীজ নির্মাণের কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।ব্রীজ সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে ২০/২৫ ফুট গভীর একটি গর্ত রয়েছে, যার দৈর্ঘ প্রায় ১ শ ৫০ ফুট। এই গভীর গর্তের মধ্যে দিয়ে নির্মাণ করা হয় ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ সড়ক।

উপজেলার পোগইল গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান,এখানকার পরিস্থিতিতে প্যালাসাইডিং সহ সিসি ব্লক বসানো ছাড়া নির্মিত সংযোগ সড়ক কোন কাজে আসবেনা। আলগা মাটির উপর হিয়ারিং বন্ডসহ গার্ডার পিলার বসানোর ফলে সহজেই ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শিমুলতলি বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই সংযোগ সড়ক থেকে মাটি ধসে যাওয়ায় হিয়ারিং বন্ডের ইট ও গার্ডার পিলার উল্টে পড়েছে।ভারী বৃষ্টি হলে সড়কটি ডেবে ও ধসে জনসাধারণের চলাচল ব্যাহৃত হবে।

নাকাই ইউপির প্রাক্তন সদস্য ফজলুল করিম বলেন, এখানে প্যালাসাইডিং ছাড়া ব্রীজের কোন মুল্য নেই। এমন পরিস্থিতিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাঁশের প্যালাসাইডিং করা হলেও সিসি ব্লকের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
ফলে ভারী যানবাহন চলাচলে ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আতিকুর রহমান জানান, গত বছরের ১০ অক্টোবর প্যালাসাইডিং সহ সিসি ব্লকের জন্য সংশোধনী প্রাক্কলন আমফান প্রকল্পের পিডি বরাবর পাঠানো হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত অনুমোদন পাওয়া যায়নি।

গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) ছাবিউল ইসলাম জানান, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

মন্তব্য করুন