কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬ জুন, ২০২৪, ০৯:৫৮ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

নদীর ভাঙনে বেরিয়ে এলো ৮ বছর আগের অক্ষত লাশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় দুধকুমার নদের ভাঙ্গনের কারণে মৃত্যুর ৮ বছর পর কবর থেকে কাফনের কাপড়সহ এক ব‍্যক্তির অক্ষত লাশ বের হয়ে এসেছে।

বুধবার (২৬ জুন) উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের চর বলদিয়া গ্রামের কালিরহাট পাঁচ মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। 

ওই ব‍্যক্তির নাম মহেজ আলী। তিনি একই গ্রামের মৃত জপির মন্ডলের ছেলে এবং সোনাহাট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য আকবর আলীর বাবা।

ওই ব‍্যক্তির ছেলে ও ইউপি সদস‍্য আকবর আলী জানান, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে আমার বাবা মারা যান। বাড়ির পাশেই আমার বাবাকে কবর দেই। কিছু দিন আগে দুধকুমার নদের ভাঙনে আমাদের বসতভিটা নদীতে চলে গেলে আমরা সপরিবারে কালিরহাট বাজারের পাশে নতুন করে বসতবাড়ি করি। শুধু বাবার কবরটা নদী গর্ভে বিলীন হওয়া বাকি ছিল। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংবাদ পাই বাবার কবর নদী ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে। খবর পেয়ে আমরা তিন ভাই মিলে বাবার কবরের পাশে গিয়ে দেখতে পাই কবরের অর্ধেক ভেঙে গেছে এবং কবরের ভিতরে সাদা কাপড় দেখা যাচ্ছে। পরে তিন ভাই মিলে কবরে নেমে কাফনের কাপড়সহ বাবার মরদেহ তুলে আমাদের নতুন বাড়িতে নিয়ে আসি। মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে পরামর্শ করে নতুন করে কবর খুড়ে জানাজা ছাড়াই দাফন করি।
আমার বাবা নিয়মিত জামাতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন এবং ইসলামী অনুশাসন মেনে চলতেন বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে ভূরুঙ্গামারী ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার আরবি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক ও কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মো. মাহবুবুল আলম জানান, মহান আল্লাহর খালেছ বান্দাদের অক্ষত মরদেহ পাওয়ার বিষয়ে অনেক খবর আমরা পাই। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন ‘যারা আল্লাহর রাস্তায় মারা যায়, তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত এবং কবরে আল্লাহ তাদের রিজিক দেন।’ তাই এটি অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। এই সব মরদেহ জানাজা ছাড়াই দাফন করতে হয়। তবে কেউ যদি পুনরায় জানাজা করতে চায় তাতেও কোন সমস‍্যা নাই।
সোনাহাট ইউপি চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম লিটন ঘটনার সত‍্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমি শোনা মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক পুনরায় মরদেহ মাটি দেওয়ার ব‍্যবস্থা করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন