বন্দর (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৯ জুন, ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বন্দরে সন্ত্রাসী মনু হত্যায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নারায়নগঞ্জ বন্দর মদনপুরে ঝুট ব্যবসার আদিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী কামরুজ্জামান কামু'র ছোট ভাই সন্ত্রাসী মনিরুজ্জামান মনু (৪২) নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত সন্ত্রাসী কামরুজ্জামান মনু বন্দর থানার ২৭ নং ওয়ার্ড মুরাদপুর এলাকার মৃত কামালউদ্দিনের ছেলে।

এব্যাপারে ৮ জুন শনিবার নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগম বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১৩(৬)২৪ ধারা- ১৪৩/ ৪৪৭/ ৪৪৮/ ৩০৭/ ৩২৩/৩২৫/৩৫৪/ ৩৮৯/ ৪২৭/ ৫০৬/ ১১৪/ ৩০২/ ৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
এর পূর্বে গত ৭জুন শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে নাসিক ২৭ নং ওয়ার্ড মুরাদপুর নিজ বাড়ির ওঠানে এ হত্যার ঘটনাটি ঘটে।

মামলার আসামি মুরাদপুর এলাকার মনির হোসেন, মিঠু, টিটু, ফারুক, মোজাম্মেল, নুরু হাজী। একই এলাকার কাউসার, নাঈম, ফরহাদ, ফয়সাল, রায়হান, নুরুল, মোজাম্মেল, ইউনুস ও জনি।
গত বৃহস্পতিবার সোনারগাঁও কুতুবপুর এলাকার মামীর জানাজা শেষে শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে মনিরুজ্জামান মনু মদনপুর মুরাদপুর নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিল। এসময় আসামিরা মনুকে ঘর থেকে বাহির করে প্রথমে মাথায় গুলি করে। পরে উঠানে ফেলে একজন মাথায় বসে থাকে। অন্যান্যরা কুপিয়ে ও লোহা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে দুপুর ২ টার দিকে  চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এবিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মনিরুজ্জামান মনু হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেছে । আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।

এদিকে এলাকাবাসী জানান, গত এক যুগ ধরে ধারাবাহিকভাবে নিহত মনুর বড় ভাই বাবুল আক্তার, ছোট ভাই নূরুজ্জামান নুরা ও বড় দুই বোন নিলুফা এবং সনিয়াসহ চার ভাইবোন প্রতিপক্ষ শীর্ষ সন্ত্রাসী সুরুত আলী বাহিনীর হাতে খুন হয়েছেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী কামরুজ্জামান কামু'র সাভাবিক মৃত্যু হলেও হত্যা সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আবুল পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হন। তারপর থেকে মনু এলাকা ছেড়ে কাপাসিয়া বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করে। স্থানীয় গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল। গত বৃহস্পতিবার মনুর মামীর মারা গেছে। এ খবর পয়ে মনু পাশ্ববর্তী সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুরের কুতুবপুর এলাকায় তার মামীর জানাজায় অংশ নেয়। শুক্রবার সকালে মনু মুরাদপুর নিজ বাড়িতে আসে। মনু বাড়িতে অবস্থান করছে খবর পেয়ে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ তার বাড়িতে ঢুকে  ঘর থেকে টেনে হেঁচড়ে  উঠানে ফেলে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। তার পূর্বে নিহত মনুর মা রেহেনা বেগম ও পিতা কামালউদ্দিন খুন হয়েছিলেন প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী বাহিনী হাতে। নিহত মনুর ৫ ভাইয়ের মধ্যে নুরা, আবুল ও বাবুল চার ভাই একের পর এক হত্যাকান্ডের শিকার হলেও মনিরুজ্জামান মনু প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়। তবে নিহত মনু মিয়ার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

মন্তব্য করুন