রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৮ জুন, ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ফরহাদের মৃত্যু

সাবেক সংসদ সদস্য ফরহাদ আহমেদ চৌধুরী কাঞ্চন । ছবি: সংগৃহীত

তৎকালীন ময়মনসিংহ-২২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফরহাদ আহমেদ চৌধুরী (কাঞ্চন) ইন্তেকাল করেছেন। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মৃত্যুকালে তিনি দুই স্ত্রী, তিন ছেলে ডা. ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী (লাকী), ইঞ্জিনিয়ার রিয়াসাত আহমেদ চৌধুরী, ফারহান আহমদ চৌধুরী জ্যোতি, তিন কন্যা ফারহানা আহমেদ চৌধুরী কাউন্সিলর হাইকমিশনার (মালয়েশিয়া), ডা. ফারজানা আহমেদ চৌধুরী, ফারিহা আহমেদ চৌধুরী, পুত্রবধু ডা. শারমিন রেজা বুবলি, ডা. তুরাশ হক, আফিয়া ইসলামসহ অসংখ্যা আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

শনিবার বাদ আসর জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকাল রোববার বাদ জোহর নিজ এলাকা ইটনা উপজেলার থানেশব্র গ্রামের মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

ফরহাদ আহমেদ চৌধুরী কাঞ্চন ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

ফরহাদ বৃহত্তর ময়মনসিংহ ভাসানী ন্যাপের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরে ভাসানী ন্যাপ বিলুপ্তির আগ পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বিএনপি'র কেন্দ্রীয় যুবদল ও বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নির্বাহী সদস্য ছিলেন, যার আহ্বায়ক ছিলেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। যুব নেতা হিসেবে তিনি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে রোমানিয়া, তুরস্ক, ইরান, দুবাই ভ্রমণ করেন।

১৯৭৯ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ময়মনসিংহ-২২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ফরহাদ। তিনি দৈনিক আজকের গণশক্তি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রশাসক ছিলেন।

তার বড় ছেলে অধ্যাপক ডা. ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী (লাকী) গ্যাস্ট্রোএন্টারোলোজি বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন।

উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ-২২ আসনটি ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের সময় গঠিত হয়েছিল। ১৯৮৪ সালে আসনটি বিলুপ্ত হয়।

 

মন্তব্য করুন