নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারী, ২০২৪, ০২:০৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

শীতে কাঁপছে গোটা দেশ, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

মাঘের তীব্র শীতে কাঁপছে গোটা দেশ। উত্তরাঞ্চলের কয়েক জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র ঠান্ডা আর ঘনকুয়াশার চাঁদরে ঢেকে আছে প্রকৃতি। শীতে জুবুথুবু জনজীবন। ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাসহ উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় দেখা মেলছেনা সূর্যের । কোথাও কোথাও গভীর রাত থেকে বৃষ্টির ফোটার মতো ঝড়ে পড়া ঘনকুয়াশা ঠান্ডার মাত্রা তীব্র করেছে।

এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারেনি ১১টি ফ্লাইট। পরে ফ্লাইটগুলো আশপাশের বিমানবন্দরে চলে যায়।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত চলে এ অবস্থা। এসময় কুয়াশার কারণে ঢাকা বিমানবন্দরের রানওয়ে দেখতে না পেরে ১১টি ফ্লাইট সিলেট, চট্টগ্রাম, হায়দ্রাবাদ ও কলকাতা বিমানবন্দরে যায়।

টানা শীত-কুয়াশা ও দিনভর বৈরী আবহাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতের কারণে কাজকর্ম কমেছে দিনমজুর, ভ্যানচালক, পাথর ও চা শ্রমিক এবং দৈনিক শ্রমের উপর নির্ভরশীল মানুষদের। এ ছাড়া রোগব্যাধির সঙ্গে বাড়ছে অভাব ও অসহায় জীবনযাপনের চিত্র।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে সিরাজগঞ্জে ও বান্দরবানে। যা মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ছিল ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা আজ আরেকটু কমে নেমেছে ৯.৬ ডিগ্রিতে।

রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও আজ গতকালের তুলনায় কমেছে। গতকাল মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আজ নেমেছে ১৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

তীব্র শীতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত নানান রোগ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। স্কুল-কলেজে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামবে সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।

বেশ কিছুদিন ধরেই দেশজুড়ে কুয়াশাচ্ছন্ন ও কনকনে শীতল পরিবেশ বিরাজ করছে। কোনো কোনো অঞ্চলে টানা সাত দিনেও মেলেনি সূর্যের দেখা। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাত থেকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত দেশের পাঁচ বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির পর মেঘ ও কুয়াশা পরিষ্কার হয়ে গেলে মিলবে সূর্যের দেখা।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, বুধবার খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। তবে এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

ঘন কুয়াশায় সারা দেশের যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথ সবখানেই ভোগান্তি পোহাচ্ছেন চালক ও যাত্রীরা। দিনেও কুয়াশা না কাটায় যানবাহনে জ্বালাতে হচ্ছে হেডলাইট। পৌষের মাঝামাঝি সময় থেকে জেঁকে বসা শীতে সারা দেশেই পড়ছে ঘন কুয়াশা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চালাতে হচ্ছে গাড়ি। ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ি চলছে ধীর গতিতে। অনেক ভারী যানবাহন কুয়াশা না কাটা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকছে রাস্তার পাশে। আবার ঝুঁকি নিয়েও চলছে অনেকে।

ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলছেন, পাঁচ থেকে ছয় মিনিটের রাস্তা যেতে হচ্ছে ৩০ মিনিটে। তারপরও লম্বা সময় দাঁড়িয়ে গাড়ি পাওয়া যায় না।

বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। তাপমাত্রা উঠানামা করলেও কমেনি শীতের দাপট। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। দিনের অধিকাংশ সময় থাকছে মেঘাচ্ছন্ন।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র ঠাণ্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে শীতে কাতর মানুষ। ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে গৃহপালিত পশুপাখিরাও। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগ

গত এক সপ্তাহে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ৪৪৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু। এ ছাড়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ৭০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ১২ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ৫৭ জন শিশু। দিন ও রাতের তাপমাত্রার কাছাকাছি হওয়ায় দিনভর ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গায় আজ মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কনকনে ঠান্ডা আর তীব্র শীতে কাঁপছে প্রাণীকুল। সূর্যের দেখা মেলেনি। কুয়াশাচ্ছন্ন রয়েছে চারপাশ। মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে মানুষ।

তবে আবহাওয়া কেন্দ্র বলছে, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে আকাশে মেঘ দেখা দিতে পারে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার কেন্দ্রের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ছয়টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ। সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ।

বৃহস্পতিবারের (১৮ জানুয়ারি) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে হালকা বৃষ্টি বা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এই সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে দেশে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়েছে ২০১৮ সালে। সে বছর ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছিল দুই দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। একই বছর সারাদেশে দফায় দফায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহও দেখা গিয়েছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সে তুলনায় চলতি বছরে এখন পর্যন্ত কোনো জেলাতেই তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দেখা যায়নি। কিন্তু তারপরও মানুষ কেন অস্বাভাবিক ধরনের হাড়কাঁপানো শীতের কথা জানাচ্ছে, সেই প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়াবিদেরা বলেছেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছরের জানুয়ারিতে তাপমাত্রা খুব একটা না কমলেও বেশকিছু কারণে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। তবে জানুয়ারি মাসজুড়েই শীতের এমন দাপট থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন তারা।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, দেশে এ বছর ঠান্ডার দাপট বেশি অনুভূত হচ্ছে এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, প্রতিদিনই অনেক বেশি সময় কুয়াশা স্থায়ী হওয়া। সাম্প্রতিক অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দীর্ঘসময় ধরে ঘন কুয়াশা পড়তে দেখা যাচ্ছে। কোনো কোনো অঞ্চলে দৈনিক ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কুয়াশা থাকছে।

সেই সঙ্গে এবার কুয়াশা তৈরির প্রবণতা অপেক্ষাকৃত বেশি দেখা যাচ্ছে। আর এই দীর্ঘ সময়ের কুয়াশার কারণে সূর্যের কিরণকাল কমে এসেছে। সূর্য বেশিক্ষণ আলো দিতে পারছে না। এতে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে সূর্যের তাপ থাকে।

এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে সাধারণত সূর্যের কিরণকাল আট থেকে ১২ ঘণ্টা হলেও এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র তিন থেকে চার ঘণ্টায়।’

এতে মাটির উপরিভাগ উত্তপ্ত হতে না পারায় দিনের ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য অনেকটাই কমে গেছে। ফলে শীতের দাপটও বেড়ে যাচ্ছে। এ বছর দিনের তাপমাত্রা দুই থেকে সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে দেখা গেছে। বিশেষ করে ১১ জানুয়ারির পর থেকে তাপমাত্রার পারদ দ্রুত নেমে যাচ্ছে।

কোনো অঞ্চলের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান যদি ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়, তবে শীতের অনুভূতি তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। সে ক্ষেত্রে ‘হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হয়’। গত সপ্তাহে বিভিন্ন জেলার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার তুলনা করে দেখা গেছে- রংপুর, দিনাজপুর, তেঁতুলিয়ার মতো উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ অঞ্চলেই তাপমাত্রার ব্যবধান পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। অন্যদিকে, ঢাকা, বগুড়া, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম দেখা গেছে।

এদিকে, বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের সূচকে সম্প্রতি বেশ কয়েকবারই ঢাকাকে শীর্ষ দূষিত শহরের তালিকায় দেখা গেছে। যানবাহন, ইটভাটা ও শিল্প-কারখানার দূষিত ধোঁয়ার পাশাপাশি নির্মাণকাজের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে সারাদেশেই আগের চেয়ে বায়ুদূষণ বেড়েছে বলে বিভিন্ন গবেষণায় বলা হচ্ছে। এর মধ্যেই ফের জানুয়ারি মাসে দিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে দূষিত বায়ু প্রবেশের পরিমাণ বেড়েছে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, দূষিত এই বাতাসে প্রচুর পরিমাণে ধূলিকণা মিশে রয়েছে, যা মেঘ ও কুয়াশা তৈরিতে নিয়ামক হিসেবে ভূমিকা রাখছে। গত দুই সপ্তাহে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেটের বেশকিছু এলাকায় বিকেল পর্যন্ত কুয়াশা দেখা গেছে। আবার কোথাও কোথাও কুয়াশা বেশি থাকায় সারাদিনে একবারও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি বলে জানা গেছে।

এছাড়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও দেশজুড়ে বাতাসের চাপ বেশি থাকায় হিমালয়ের পাদদেশ থেকে উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে শীতের ঠান্ডা বাতাস উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এতে শীতের অনুভূতি তীব্রতর হচ্ছে। যেহেতু পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গজুড়ে উচ্চচাপ বলয় সক্রিয় আছে, ফলে বায়ুচাপ বাংলাদেশের দিকে প্রবেশ করছে।

তিনি বলেন, ‘বাতাসের গতিবেগ তুলনামূলকভাবে একটু বেশি থাকার কারণে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং ঢাকার পশ্চিমাঞ্চল ও খুলনার উপরের দিকে যশোর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা- এসব অঞ্চলে শীতের দাপট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। সেই সঙ্গে বায়ুমণ্ডল খুব ঠান্ডা হওয়ায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রচণ্ড গতিবেগ সম্পন্ন বাতাস বা (জেড স্ট্রিম) কখনো নিচে নেমে আসছে, কখনো উপরে উঠে যাচ্ছে। এর ফলে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। চলতি মাসের পুরোটা সময়জুড়েই শীতের এমন দাপট থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।

মন্তব্য করুন