সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৯ জুন, ২০২৪, ১২:২৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

সীতাকুণ্ডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস উল্টে নিহত ১, আহত ১৫

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস উলটে এক যাত্রী নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। ৫ জনের অবস্থা আশংকাজনক। 

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১ জন যাত্রী নিহত,১৫ জন আহত ও ৫ জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। একজন মহিলা যাত্রী নিহত হলেও তার এবং অন্যান্য আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। একজন মহিলা যাত্রীর নিহতের ঘটনা কুমিরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আল মামুন নিশ্চিত করেছেন।  

শনিবার সকাল আনুমানিক ৯ টায় সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ফকিরহাটে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ষ্টার লাইন পরিবহনের ফেণীগামী একটি যাত্রীবাহী বাস সকাল আনুমানিক ৯ টায় সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকা অতিক্রম কালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উল্টে যায়। এতে ২৫/৩০ জন মহিলা, শিশু ও পুরুষ যাত্রী বাসের ভিতর আটকে পড়ে। প্রথমে স্থানীয় জনগণ উদ্ধার তৎপরতা শুরু করলে পরবর্তীতে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এতে একজন যাত্রী নিহত, ১৫ জন আহত ও ৫ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গাড়িটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উল্টে যাওয়াই ঢাকার সাথে সারাদেশের দুই ঘন্টা যাবত গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। উভয় দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। 

কুমিরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আল মামুন দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, আমরা দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেই উদ্ধার অভিযান শুরু করি, এতে একজন অজ্ঞাত (৪৭) মহিলাকে ও ৩ জন আহতকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) প্রেরণ করেছি। 

এ বিষয়ে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ফেনী ও অভিমুখী একটি যাত্রীবাহি বাস সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ফকিরহাট এলাকা অতিক্রম কালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে উল্টে যায়। এতে গাড়ীর যাত্রী বাসের ভিতরে আটকে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস, আমরা ও স্থানীয় জনগণ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আহতদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) প্রেরণ করেছি। আমরা গাড়িটা উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে এসেছি।

মন্তব্য করুন