শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ, ২০২৪, ০২:২০ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অনুমোদন বিহীন তিন চাকার গাড়ি চলছে বেপরোয়া গতিতে। এসব গাড়ির কারণে সড়কে নিয়মিত দূর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। অনুমোদন বিহীন এসব গাড়ি চলছে কক্সবাজারের চকরিয়ার চিরিংগা হাইওয়ে থানার ওসি মাহবুবুল হক ভুইয়ার দেয়া টোকেনের মাধ্যমে। টোকেনবিহীন গাড়ি আটকিয়ে আটক বাণিজ্যও করে যাচ্ছে। 

সড়কে বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও টোকেন বানিজ্যের প্রতিবাদে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী মানববন্ধনও করেছে। তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি হাইওয়ে পুলিশ কতৃপক্ষ। এতে করে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে বহাল তবিয়তে রয়েছে তিনি।

এতে সাধারণ মানুষ পুলিশের প্রতি আস্থা হারাতে বসেছে। পুলিশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। টোকেন বাণিজ্যে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে রাস্তায় অনশন করার ঘোষণা দিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা হাইওয়ে থানায় গত চার মাসে আগে ওসি হিসেবে যোগদান করেন মাহাবুবুল হক ভুইঁয়া। তিনি যোগদানের পর থেকে পুলিশিংয়ের দায়িত্ব ছেড়ে প্রকাশ্যে নেমেছেন টোকেন বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির মিশনে। সড়কে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামসহ যে কোন জায়গা থেকে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী কিংবা যাত্রীবাহী গাড়ি চিরিংগা হাইওয়ে থানা এলাকায় আসলে গাড়ির চালক এবং হেলপারের মনে আতংক কাজ করে। কারণ গাড়িতে সংকেত দিয়ে দেখা হয় টোকেন আছে কিনা,থাকলে রেহায় পায়।টোকেন না থাকলে গাড়ি আটক করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে গিয়ে মোটা অংকের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এতে গত চার মাস ধরে চিরিংগা হাইওয়ে থানার ওসির চাঁদাবাজিতে খুবই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। 

পরিববন শ্রমিকরা জানান, তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে সড়কে মানববন্ধন করেছে সাধারণ মানুষ ও পরিবহণ শ্রমিকরা। এরপরও তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন। 

একজন পুলিশ কর্মকর্তার চাহিদা মেটাতে কত টাকার প্রয়োজন আছে? মানুষের সেবক হয়ে থানায় সেবা দিতে এসে উল্টো শ্রমিকদের ঘাম ঝরানো টাকা হাতিয়ে নিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করা খুবই দুঃখজনক। 
এসব চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করার কারণে অনেক শ্রমিকদের উল্টো চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করেছেন তিনি। এমনকি সামনে এধরনের প্রতিবাদ করলে আরও মামলা দেয়ার হুমকিও দেন তিনি। তাঁর চাঁদাবাজি বন্ধ হচ্ছে না আমাদের রাস্তায় নেমে অনশন করা ছাড়া আর উপায় দেখছি না। শীঘ্রই তাঁর এমন চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে আমরা অনশনে নামবো।

ভুক্তভোগী মিরাজ নামের এক ব্যক্তি বলেন, চিরিংগা হাইওয়ে থানার ওসি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার হাত থেকে বাঁচতে আমাকে মামলা দিয়েছে। স্থানীয় শ্রমিকরা ওনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম না। আর মামলায় যাদের সাক্ষী দেওয়া হয় তারাও আমাকে চেনে না।

এ ব্যাপারে চিরিংগা হাইওয়ে থানার ওসি মাহবুবুল হক ভুইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অবৈধ যানবাহনের মালিকরা ও চালকেরা এ ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছে। 

মন্তব্য করুন