আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০ জুন, ২০২৪, ০১:১৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

দিল্লিতে রেকর্ড-ভাঙা বৃষ্টিতে নিহত ১১

ছবি: সংগৃহীত

রেকর্ড ভারী বৃষ্টিতে ভারতের রাজধানী অঞ্চল দিল্লির বহু নিচু এলাকা ডুবে গেছে ও অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নগরীটিতে আবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

শুক্রবার দিল্লিতে রেকর্ড-ভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। এদিন নগরীটিতে ২২৮ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এটি ১৯৩৬ সালের পর থেকে জুন মাসের একদিনে হওয়া সর্বোচ্চ বৃষ্টি।

এই বৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই দিল্লিবাসীকে আবারও ভারী বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর নগরীটিতে রোববার ও সোমবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্বাভাস দিয়ে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) রঙ-ভিত্তিক সতর্কতা পদ্ধতি অনুযায়ী অরেঞ্জ অ্যালার্ট লোকজনকে ভারি বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানায়।

আইএমডির আবহাওয়া বিজ্ঞানী সোমা সেন দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ু এগিয়ে আসছে, উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি অংশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

শুক্রবার সকাল থেকেই ভারতের টেলিভিশনে জলমগ্ন আন্ডারপাসগুলোয় যানবাহন আটকে থাকার ও ডুবে যাওয়া সড়কগুলো দিয়ে লোকজনের পানি ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই বৃষ্টিজনিত কারণে ঘটা মৃত্যুর খবর আসা শুরু হয়। মৃতদের মধ্যে বেশি কিছু শিশুও রয়েছে, তারা পানিতে তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন গর্তে পড়ে ডুবে মারা গেছে।

নগরীর বসন্ত বিহার এলাকায় একটি দেয়াল ধসে তিনজনের মৃত্যু হয়। দিল্লি বিমানবন্দরের এক ছাউনির একটি অংশ ধসে যাত্রীর জন্য অপেক্ষারত এক ক্যাব চালকের মৃত্যু হয়।

জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক যানজট ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ আন্ডারপাস প্রগতি ময়দান টানেল প্লাবিত হওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়। শনিবারও এ আন্ডারপাসটি বন্ধ ছিল।

এমন পরিস্থিতিতে ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসে দিল্লির বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন বলে খবর। নগর কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে ও আসন্ন বৃষ্টির জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাব চলাকালে দিল্লিতে গড়ে প্রায় ৬৫০ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টিপাত হয়, কিন্তু এবার প্রথম এক দিনেই এর এক-তৃতীয়াংশ বৃষ্টি হয়ে গেছে।

মন্তব্য করুন