চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১ জুন, ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

চাহিদার কারণে চাঁদপুরে বেড়েছে ডিমের দাম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চাঁদপুর শহরের তুলনায় গ্রামের ডিমের দাম কিছুটা কম। আলু আর পেয়াজ শহর এবং গ্রামে কেজি প্রতি ৫টাকার ব্যবধান। শহরে প্রতিহালি ডিম বিক্রি হয় ৫৫টাকা এবং গ্রামে ৫২টাকা। শহরে পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৭৫ থেকে ৮০টাকা। গ্রামে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫টাকা। আলু শহরের খুচরা দোকানে প্রতিকেজি ৫৫টাকা এবং গ্রামে ৬০টাকা। চাহিদার কারণে ডিমের দাম বেড়েছে জানালেন ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার (২১ জুন) শহর ও গ্রামের ব্যবসায়ী এবং খামারিদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানাগেছে।

চাঁদপুর সদরের বাগাদি ইউনিয়নের সোবহানপুর গ্রামের ডিম উৎপাদনকারি পাটওয়ারী এগ্রো ফার্মের পরিচালক হাবিবুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, বৃহস্পতিবার প্রতিপিস ডিম বিক্রি হয়েছে ১২টাকা করে। আজকের বাজার দর হচ্ছে ১১টাকা ৮০পয়সা। ঈদের পূর্ব থেকেই ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে।

দাম বাড়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খাদ্যের দাম বাড়েনি। সব কিছুই ঠিক আছে। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য ডিমের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে দাম বেড়েছে। তবে আজকে থেকে আবার কমতে শুরু করেছে, আরও কমবে।

সদর উপজেলার মৈশাদী গ্রামের বাসিন্দা লিটন মিয়া বলেন, আমাদের গ্রামের দোকানে আজকে প্রতিহালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫২টাকা। আর পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৮০ থেকে ৮৫টাকা। আর আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০টাকা। আলুর দাম ঈদ উপলক্ষে বাড়েনি। তবে কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ৩৫০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শহরের নিউ ট্রাক রোডের ডিম বিক্রেতা জিলানী এন্টারপ্রাইজের মালিক জিলানী বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে পাইকারী ডিম আসে কিশোরগঞ্জ থেকে। সাইজে বড়। চাঁদপুরে ডিম উৎপাদন হয় কম। সাইজে ছোট বিক্রি করতে সমস্যা হয়। আজকের বাজার দর হচ্ছে প্রতিকুড়ি ডিম ২৬০টাকা। 

একই সড়কের সততা সুবিদপুর স্টোরের মালিক মো. হারুন বলেন, ডিমের দাম উঠানামা করছে। বাজার দর ঠিক থাকে না। বৃহস্পতিবারে প্রতিকুড়ি ডিম বিক্রি করেছি ২৮০টাকা দরে। আর আলুর দাম ৫৫টাকা এবং পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৮০টাকা। ঈদ উপলক্ষে আলু ও পেয়াজের দামে বেশী পার্থক্য হয়নি।

মন্তব্য করুন