মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৪ জুন, ২০২৪, ০৩:০৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

পরীক্ষায় ফেল করার ভয় দেখিয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মান্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. বিল্লাল হোসনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠদান ও কোচিং সেন্টারে পড়ানোর উছিলায় স্পর্শকাতর স্থানে, হাত দিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করে আসছে বলে অভিযোগ করেছে ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। 

এ ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। 

ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলে, ‘ওই শিক্ষক বিল্লাল হোসেন বিভিন্ন সময় আমাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। হাতে বুলিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন। তাকে প্রতিবাদ করলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখান। এ কারণে কাউকে কিছু বলার সাহস আমরা পায়নি এবং স্কুলে আসতে ভয় পাই। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই অনৈতিক কার্যকলাপ করে আসছেন। আমরা এই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

শিক্ষার্থীদের অভিভাকেরা জানান, একজন শিক্ষকের বয়স প্রায় ৩৬। এখানও বিয়ে করেননি। তারপরও কোমলমতি শিশুদের কাছে এ ধরণের আচরণে তারা মর্মাহত। কোমলমতি শিশুরা এর কাছে নিরাপদ নয়। তাহলে সন্তানদের লেখাপড়া করাবো কোথায়? তারা এই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

এব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মো: বিল্লাল হোসেন জানান, এ ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। এলাকার মানুষের ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। 

মান্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা জানান, বিষয়টি মৌখিক শুনেছি। ঈদের ছুটির আগে ডাকযোগে চিঠিও পেয়েছি। আগামী মাসের ৩ তারিখে বিদ্যালয়ে খোলা হবে। তখন বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে বসে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

 

মন্তব্য করুন